________________
০৬
বর্ধমান মহাবীর | অথচ এই আশ্রমপদ কৌশিকের খুব প্রিয় ছিল। ফুল ভােলা, পাতা ছেড়া ত দূরে, সে কাউকে তার গায়ে হাত পর্যন্ত দিতে দিত না।
কৌশিক তাই আশ্ৰমপদে ফিরে এসেই ফুল ছেড়া, পাতা ছেড়া দেখেই ক্রুদ্ধ হয়ে উঠল। রাজপুত্ররা তখনাে ফিরে যায় নি। আশ্রমপদের আর এক প্রান্তে খেলা করছিল। কৌশিক তাই দেখে কাঠের বােঝা ফেলে দিয়ে কুড়ােল নিয়ে তাদের কাটতে ছুটল।
রাজপুত্ররা তাকে আসতে দেখে ভয় পেয়ে ছুট দিল আর সে এক গভীর গর্তের মধ্যে পড়ে গিয়ে নিজের কুড়ােলের ঘায়ে নিজের মাথাটি ফাটিয়ে ফেলল। সেইখানে সেইভাবে তার মৃত্যু হল।
তার সেই ক্রুরতার জন্য কৌশিক এবার দৃষ্টিবিষ সাপ হয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। এবং এই আশ্রমপদ তার অত্যন্ত প্রিয় ছিল বলে সে এই আশ্রমপদকে যক্ষের মত আগলে রয়েছে।
চণ্ডকৌশিক তখন ভাবতে লাগল। ভাবতে ভাবতে তার চোখের সামনের কালাে পর্দাটা যেন সরে গেল। প্রজ্ঞার আলােকে তখন সে দেখতে পেল যে তার জন্য তার এই অধােগতি সেই ক্রুরতাকে সে আজও পরিত্যাগ করেনি। তখন তার বর্ধমানের কথা মনে হল, ‘উৰম ভভ চণ্ডকোসিয়া—হে চলেশিক, শান্ত হও, শান্ত হও। না, সে এবার শান্ত হবে। ক্রোধ পরিহার করবে। কোপনতাকে পরিত্যাগ করবে। অধােগতিকে উধ্বগতিতে পরিণত করবে। পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবে। তার যে চোখের দৃষ্টিতে জীব ভস্ম হয়, গাছপালা পুড়ে ছাই হয়, সে চোখ সে আর খুলবে না, সেই চোখের দৃষ্টিতে কার দিকে সে আর চেয়ে দেখবে না। | চণ্ডকৌশিক তখন পরিশুদ্ধ মন নিয়ে বর্ধমানকে প্রণাম করে তার বিৰৱের মধ্যে যে মুখ ঢােকান সে মুখ আর সে ৰাৱ কৱল না। এমনকি যখন আশপাশের গ্রামের লােক তার এই পরিবর্তনে তাকে দেবতাজ্ঞানে তার গায়ে এসে ঘী ও মধু লেপন করতে লাগল,