________________
55
বর্ধমান মহাবীর | সাপটি তখন এক দৃষ্টে বর্ধমানের দিকে তাকিয়ে কি ভাবতে লাগল। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ সে যেন শুনতে পেল বর্ধমান তাকে ডাক দিয়ে বলছেন, উসম তাে চণ্ডকোসিয়া-হে চণ্ড কৌশিক, শান্ত হও, শান্ত হও। | ‘চণ্ডকৌশিক' এই নামটি তার কানে যেতেই তার মনে হল এ নামটি যেন তার খুবই পরিচিত। এ নামটি কোথায় যেন সে শুনেছে। তখন তার হঠাৎ মনে পড়ে গেল এ নাম তারই নাম। তার পূর্বজন্মের নাম। সে জন্মে এই অশ্ৰমপদের কুলপতি। পুত্র হয়ে সে জন্মগ্রহণ করেছিল। তারপর সে নিজেও কুলপতি হয়েছিল। কিন্তু সে ভায়ী কোপন-স্বভাব ছিল। সেই স্বভাবের জন্য সবাই তাকে কৌশিক না বলে চণ্ডকৌশিক বলে ডাকত। | আগের জন্মের কথা মনে পড়াতে তার মনে পড়ে গেল তারও আগের আর এক জন্মের কথা। সে জন্মে সে ব্রাহ্মণ ছিল ও খুব দরিদ্র ছিল। তার বাড়ি ছিল কৌশিক নগরে। সেজন্মে তার নাম ছিল গােভদ্র। | কৌশিকের স্মৃতির দরজা যেন খুলে গেছে। সে দেখছে তার স্ত্রী সুভদ্রা যেন তার সামনে দাড়িয়ে বলছে, দেখ আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছি, যখন সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে তখন অনেক অর্থের প্রয়ােজন হবে। তুমি কিছু অর্থার্জনের চেষ্টা দেখ। তারপর তাকে নিরুত্তর দেখে একটু থেমে বলছে, এখানে ত অনেক শ্রেষ্ঠী রয়েছেন তাদের কাছে গিয়ে চাও না, তারা তােমাকে কিছু অর্থ দিতে পারেন।
প্রত্যুত্তরে সে এবারে বলল, সে আমি পারব না। চাইতে আমার লা করে।
সুভদ্র। তখন বলল, যদি চাইতে লজ্জা করে তবে বারাণসী বাও। সেখানে ধনী তীর্থযাত্রীরা মাৰ্থে অর্থ দান করেন। তুমি সেখানে অযাচিতভাবে অর্থ পেয়ে যাবে।
সে তখন বলল, সে অনেক দূর। ৰাৰ বললেই ত যাওয়া যায় না।