________________
বর্ধমান মহাবীর
'তাই হবে বলে তুন্নবায়ের কথা স্বীকার করে নিয়ে সোম সেই হতে বর্ধমানের পেছনে পেছনে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন ।
তারপর সেই আধখানা কাপড় মহাবীরের কাঁধ হতে গাছের কাটায় আটকে গিয়ে যখন মাটিতে পড়ে গেল, যখন নিস্পৃহ হার জন্য বর্ধমান তা আর তুলে নিলেন না, তখন সোম তা তুলে নিয়ে তুন্নৰায়ের কাছে নিয়ে এলেন। তুন্নবায় সেই কাপড় ছুটো জুড়ে দিলে তিনি তা নিয়ে বর্ধমানের জ্যেষ্ঠ ভ্রাত৷ নন্দীবর্ধনের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন ।
নন্দীবর্ধন সমস্ত শুনে এক লক্ষ কার্যাপণ দিয়ে সেই কাপড় ক্রয় করে নিলেন ।
বর্ধমান তাই সেদিন হতে সম্পূর্ণ নির্বস্ত্র হলেন ।
82
সেকালে উত্তর বাচালায় যাবার দুটো পথ ছিল। একটা কনকখল' আশ্রমপদের ভেতর দিয়ে অন্যটি আশ্রমপদের বাইরে দিয়ে । বাইরের পথটি একটু ঘুর হয় তবু সেই পথেই লোক যাতায়াত করে কারণ আশ্রমপদের মধ্যে দিয়ে যে পথ সে পথ নিরাপদ নয় । সেই পথকে বিপদসঙ্কুল করে রেখেছে দৃষ্টিবিষ এক সাপ। যার দৃষ্টিতেই জীব ভস্ম হয় ; দংশনের অপেক্ষা রাখে না । আজ পর্যন্ত তাই সেই পথ দিয়ে প্রাণ নিয়ে কেউ যেতে পারে নি ।
কিন্তু বর্ধমানের ভাববিশুদ্ধি হয়েছে। তাই তার কাছে সৰ পথই সমান । সাপ যতই ক্রূর হোক না কেন তাঁর মনে কোনো ক্রুরত নেই । তবে সাপ তাঁর আর কী করবে ?
অহিংসা প্রতিষ্ঠায়াং বৈত্যাগঃ। অহিংসা প্রতিষ্ঠিত হলে বৈর ত্যাগ হয়। বৈঘ্ন যদি না থাকে তবে তাঁর ক্ষতিই বা সে করবে কেন ? বর্ধমান তাই আশ্রমপদের মধ্যে দিয়ে যাবার জন্য সেদিকে পা বাড়ালেন।
তাঁকে ওদিকে যেতে দেখে গোপবালকেরা, যারা ওখানে গাইবাছুর চরাতে এসেছিল, নিষেধ করল। দৃষ্টিবিষ সাপের কথা বলে