________________
বর্ধমান মহাবীব ( সমস্ত কিছুতে তখন তাৰ বিশুদ্ধি হয়। ভাৰ বিশুদ্ধিতে নির্ভয়
বর্ধমান নির্ভয়। তাই ভয় তার কাছে থাকে না। আপনা হতেই পরাস্ত হয়ে পালিয়ে যায়।
কিন্তু তঁ কে পরাস্ত করতে এলেন অচ্ছন্দকে।
বর্ধমানের সামনে একখণ্ড কুশ মাটির ওপর রেখে তারা জিজ্ঞাসা করলেন, এই কুশ দ্বিখণ্ডিত হবে কিনা?
বর্ধমানের মনঃপর্যায় জ্ঞান হয়েছিল প্রব্রজ্যা নেবার সময়ই। তাই তিনি তাদের মনােগত তাৰ বুঝতে পেরে বললেন, না। | অচ্ছন্দকে তখন কুশটিকে দ্বিখণ্ডিত করতে গেলেন। কিন্তু পারলেন না। পরাস্ত হয়ে তখন তারা পালিয়ে গেলেন।
তঁারা পালিয়ে গেলেন কিন্তু বর্ধমানও সেখানে আর মইলেন না। কারণ তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যেখানে কারু অসুবিধার কারণ হই সেখানে থাকব না। তাছাড়া জনসমাগম। জনসমাগম ত ধ্যানধারণার অন্তরায়।
বর্ধমান তাই মােয়াক পরিত্যাগ করে বাচালার দিকে চলে গেলেন।
বাচালা তখন দু’ভাগে বিভক্ত ছিল। উত্তর বাচালা ও দক্ষিণ চালা। এই দুই বাচালার মধ্যে স্বর্ণ বালুকা ও মৌপ্য বালুকানদী।
বর্ধমান যখন দক্ষিণ বাচালা হয়ে উত্তর বাচালার দিকে যাচ্ছিলেন তখন তঁার কঁধের ওপর যে দেৰদূষ কাপড়ের আধখানা ফেলা ছিল গাছের কাটায় আটকে গিয়ে মাটিতে পড়ে গেল।
আধখানা ।
হা, আধখানা। কারণ সেই কাপড়ের আধখানা ছিড়ে তিনি তার আগেই দান করে ছিলেন কুণ্ডগ্রামের সােমকে।
নােম বর্ধমানের পিতা সিদ্ধার্থের মিত্র ছিলেন। কিন্তু মহাদরিদ্র ছিলেন। বর্ধমান যখন কাত হয়ে ন দান করলেন তখন তিনি