________________
বর্ধমান বললেন, আমি সৰ বিরতি ও দেশৰিৱতি দুই রকম ধর্মই নিরূপিত করব।
সর্ব বিরতি সর্বদা সমস্ত রকমের ত্যাগ—সাধুধর্ম। দেশ বিরতি একটা সীমার মধ্যে আংশিকভাবে ত্যাগ বা গৃহীর জন্য।
বর্ধমান এর পর তার প্রব্রজ্যা জীবনের প্রথম চাতুর্মাস্য পক্ষান্তরে আহার গ্রহণ করে শূলপাণি যক্ষায়তনেই ব্যতীত করলেন।
চাতুর্মাস্য শেষ হতেই বর্ধমান শূলপাণি যক্ষায়তন পরিত্যাগ করে বাচালায় পথ নিলেন।
পথে অবশ্য মােক সন্নিবেশে ছিলেন কয়েকদিন। মােরাকে থাকেন অচ্ছন্দকে।
অচ্ছন্দকের মন্ত্রে-তন্ত্রে বিশ্বাসী। মন্ত্র-তন্ত্র দিয়ে তার ললাকের উপকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
শূলপাণিকে শান্ত করবার জন্য বর্ধমানের আত্মিক শক্তির খ্যাতি তখন চারিদিকে। তাই লােক অচ্ছন্দকদের কাছে না গিয়ে তাঁর কাছে আসে।
এতে অচ্ছন্দকদের রাগ হয়। তাঁরা ভাবেন বর্ধমান তাদের জীবিকায় হস্তক্ষেপ করছেন। বর্ধমান আরও বেশী মন্ত্র-তন্ত্র জানেন।
বর্ধমান যদিও জনসমাগম চান না তবু মন্ত্র-তন্ত্রও তিনি কিছু জানেন না। বর্ধমানের আর কিছু হয় নি। তিনি শুধু ক্রোধকে জয় করেছেন।
ক্রোধ জয়ে কী হয়? কান্তি। কান্তিতে কী হয়? নিবৃত্তি। তিনি দুঃখকে জয় করেন। কমায় হয় এদি, চিত্তের প্রসঙ্গত, সৰজন মৈত্রী।