________________
প্রব্রজ্যা
৩৭
দেখল। দেখল যেখানে ছিল ভয় সেখানে এখন শান্তি। যেখানে প্রতিহিংসার ক্রুরতা সেখানে সীমাহীন ঔদার্য। যেখানে মূঢ়তার দম্ভ সেখানে স্নিগ্ধতার অপরিমেয় সৌন্দর্য। আরও দেখল—বর্ধমানের পায়ের কাছে শান্ত হয়ে যাওয়া শূলপাণির পূজা।
গ্রামবাসীরা আনন্দে জয়ধ্বনি দিয়ে উঠল। অনেকদিনের ভয় আজ তাদের কেটে গেল। বলল, এ খুব ভালাে হয়েছে যে আত্মিক শক্তিতে দেবার্য শূলপাণি যক্ষকে শান্ত করে দিয়েছেন।
এবারে বর্ধমানকে ঘিরে বসেছে গ্রামবাসীরা। বর্ধমান ধ্যানে তঁার যে সমস্ত দিব্য দর্শন হয়েছে তার কথা বলছেন। বলছেন :
যেন দেখলাম নিজের হাতে পিশাচকে হত্যা করলাম। একটা শ্বেতপক্ষী আমার সেবা করছে। আমাকে সেবা করতে এল একটা চিত্র কোকিল। একছ সুগন্ধি ফুলের মালা। গােৰ্গ আমার সেবা করতে এল। সরােবরে প্রস্ফুটিত পদ্মবন। সমুদ্রকে আমি যেন অতিক্রম করছি। উদীয়মান সূর্যের কিরণ যেন প্রসারিত হচ্ছে। নিজের অন্ত্র দিয়ে আমি যেন মানুষােত্তর পর্বত জড়াচ্ছি। মেরু পর্বতে আমি উঠে বসেছি।
আশ্চর্য দর্শন। কিন্তু এসবের অর্থ কী? গ্রামবাসীরা কিছুই বুঝতে পারছে না। কিন্তু বুঝতে পেয়েছে নৈমিত্তিক উৎপল। উৎপলও এসেছে যক্ষায়তনের পূজারী ইন্দ্রবর্মা ও গ্রামবাসীদের
উৎপল বলল:
দেবার্থ পিশাচকে হত্যা করছেন এর অর্থ হল তিনি মােহনীয় কর্মের নাশ করবেন অচিরেই।
আত্মর আবরণসমূহের মধ্যে মােহ ৰা মােহনীয় কর্মে আৰক্ষণই এখন বা জড় ও চেতনের বিভেদকে অনুভব করতে দেয় না ও