________________
প্রৱা
গ্রামের লােক তখন কেঁদে পড়ল। বলল, অপরাধ ত আর সকলেই করেনি। তাছাড়া ভূলের শাস্তি তাদের যথেষ্ট হয়েছে। এখন কি হলে সে শান্ত হয়।
সেকথা শুনে যক্ষ একটু নরম হল। বলল, আমি তখনি শান্ত হব যখন তােমরা আমার হাড় একত্রিত করে মাটিতে পুঁতে তার ওপর একটা চৈত্য তুলে দেবে ও সেই চৈত্যে ৰলদের ওপর বসা এক যক্ষমূর্তি প্রতিষ্ঠা করে মােজ আমার পুজো করবে।
| গ্রামবাসীদের অন্য উপায়ান্তর ছিল না। তাই তারা যক্ষের কথা স্বীকার করে নিয়ে চৈত্য প্রতিষ্ঠা ও মূর্তি স্থাপন করে একজন পূজারী নিযুক্ত করে দিল।
সেই থেকে বর্ধমানপুরের নাম হল অস্থিক গ্রাম। গ্রামে এখন আর অবশ্য শূলপাণি উপদ্রব করে না। তবে রাত্রে এখনো তার অট্টহাসি শােনা যায়। সে কি হাসি! সেই হাসি রাত্রির নিস্তব্ধতাকে চিয়ে খানখান করে দেয়। তাই ভয়ে রাত্রে এদিকে কেউ আসে না।
সেই যক্ষায়তনে শুধু আশ্রয় নেওয়াই নয়, বর্ধমান সেইখানেই রাত্রিবাস করবেন স্থির করলেন। এমনকি বর্ষাবাসও। গ্রামের লােক অবশ্য তাকে থাকবার অনুমতি দিয়েছে তবে সাবধানও করে দিয়েছে—কেন এখানে থেকে অকারণে প্রাণ দেওয়া। তার চাইতে গ্রামে চলুন। সেখানে থাকবার জায়গার অভাব কী?
কিন্তু বর্ধমান বলেন, না, তার কিছু প্রয়ােজন নেই। তাঁর কোনাে ভয়ও নেই। তিনি শুধু সেখানে থাকার অনুমতি চান।
তারপরও বর্ধমান যখন চৈত্যের ভেতরে গিয়ে এক কোণে কায়ােৎসর্গ ধ্যানে দাড়াতে যাবেন তখনাে চৈত্যের পুজারী তাঁকে আবার সাবধান করে দিলে। কিন্তু বর্ধমান তার কথাও কানে নিলেন । শুধু একটুখানি হাসলেন। কোনাে প্রত্যুত্তর দিলেন না।
বর্ধমানের হঠকারিতায় শূলপাণির ভয়ানক রাগ হয়েছে। ভাৰছে একি ধরনের ধৃষ্ট মানুষ। গ্রামের লােক কত নিষেধ করল, পূজারী