________________
বর্ধমান মহাবীর কিন্তু সেভাবে মালবােঝাই গাড়ী পায়ে নেওয়া ছিল কষ্টকর। একমাত্র হৃষ্টপুষ্ট বলদই সেই গাড়ী টানতে পারত। সৰ ৰলদে নয়।
শ্ৰেষ্ঠীর সঙ্গে পাঁচশ’টি মাল বােঝাই গাড়ী ছিল। কিন্তু পাঁচটি বলদের মধ্যে একটি বলদই ছিল হৃষ্টপুষ্ট। সেই বলদকে দিয়েই তিনি তাই তাঁর সমস্ত গাড়ী পায়ে নিলেন।
গাড়ী সমস্তই পারে এল। কিন্তু অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে সেই বলদটি রক্ত বমন করতে করতে সেইখানেই পড়ে গেল।
শ্ৰেষ্ঠী দুঃখিত হলেন। কিন্তু তার বাবার তাড়া ছিল। তাই ইচ্ছা থাকলেও সেখানে থেকে বলদটির শুশ্রুষা করতে পারলেন না। গ্রামের লােক ডেকে তাদের হাতে অর্থ দিয়ে বলদটির পরিচর্যা করতে বলে গেলেন।
কিন্তু শ্ৰেষ্ঠীও যেই চলে গেলেন, গ্রামবাসীরাও সেই অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়ে যে যার মত ঘরে ফিরে গেল। বলদটির শুশ্রুষা করা ত দূরের, দু’মুঠো ঘাস কি জল পর্যন্ত কেউ দিল না। ফলে বলদটি ক্ষুধায় তৃষ্ণায় কাতর হয়ে রক্ত বমন করতে করতে সেইখানেই মারা গেল। মরে সে শূলপাণি ষষ্ণ হল।
শূলপাণি যখন তার নিজের অস্থি নদীর ধারে অসংস্কৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখল তখন তার ক্রোধ হল ও গ্রামবাসীদের বিশ্বাসঘাতকতার কথা মনে করে তাদের ওপর প্রতিশােধ নেবার ইচ্ছা কয়ল। শূলপাণির কোপে গ্রামে মহামারী দেখা দিল। বহু লােক মারা গেল। বহু লােক গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেতে লাগল। কিন্তু পালিয়েও যক্ষের হাত হতে নিস্তার ছিল না। যক্ষ তাদের পেছনে ধাওয়া করে কারু পা ধরে শূন্যে ছুড়ে ফেলে দিল। কাউকে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে ডলে মারল। গ্রামবাসীরা তখন ভীত হয়ে সে কে ও কেন উপদ্রব করছে সে কথা জিজ্ঞাসা করল।
যক্ষ তখন নিজের পরিচয় দিয়ে বলল, তােময়া যেমন শ্রেষ্ঠী প্রদত্ত অর্থ আত্মসাৎ করে ঘাস কিল পর্যন্ত না দিয়ে তিলে তিলে আমায় হত্যা করলে এখন তার প্রতিফল ভােগ কম।