________________
প্রব্রজ্যা
বরে ছিলেন না, ধনার্জনের আশায় অত্র ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তারপর যখন নার্জনে নিরাশ হয়ে রিক্ত হাতে ঘরে ফিরে এলেন তখন তার ব্রাহ্মণী তাঁকে ভৎসনা করে বললেন, তুমি কি অভাগা। ঘরের আঙিনায় যখন গঙ্গা প্রকটিত হল তখন তুমি কিনা গিয়ে বসে রইলে দূর বিদেশে। এখনাে কিছু সময় আছে। বর্ধমান প্রব্রজ্যা নিতে গেছেন। তুমি তার কাছে যাও। তিনি হয়ত এখনাে কিছু ধন তােমায় দান করতে পারেন।
সােম তখন হন্তদন্ত হয়ে জ্ঞাতষও উদ্যানের দিকে ছুটে গেলেন।
কিন্তু বর্ধমান তখন প্রব্রজ্যা নিয়ে কমরী গ্রামের দিকে বেরিয়ে গেছেন।
সােম তখন তার পিছু ধাওয়া করে পথের মাঝখানে ধরে তাকে তার আবেদন জানালেন।
কিন্তু বর্ধমান তখন তাকে আর কী দিতে পারেন?
কিছুক্ষণ তাই চুপ করে দাড়িয়ে থেকে তিনি তাকে বললেন, সােম, আমি নিজেই এখন অকিঞ্চন। তাই তােমায় আর কি দিতে পারি। তবু এই নাও বলে কঁাধে ফেলা দেবদূষ কাপড়ের আধখানা ছিড়ে তাকে দান করলেন।
সােম সেই আধখানা কাপড় নিয়ে তুমবায়ের কাছে এলেন।
নােমের হাতে সেই বহুমুল্য কাপড় দেখে তুন্নবায় আশ্চর্যান্বিত হল ও সােম সেই কাপড় কোথায় পেয়েছেন জিজ্ঞাসা করল।
সােম সমস্ত কথা খুলে বললেন। কিভাবে সে কাপড় পেয়েছেন তা বিবৃত করলেন।
দুবায় সমস্ত শুনে সােমকে বর্ধমানের পেছনে পেছনে ঘুরে বেড়াতে বলল, যখন সেই আধখানা কাপড় তার কঁাধ হতে মাটিতে পড়ে যাবে তখন তিনি যেন তা তুলে নেন। বর্ধমান নিস্পৃহ হয় * সেদিকে আর ফিরে চাইবেন না। সেই আধখানা কাপড় জুড়ে দিলে এই সম্পূর্ণ কাপড়ের মূল্য দাঁড়াৰে এক লক্ষ কাৰ্যাপণ। তৰে কই সেই অর্থের অর্ধেক তাঁর, অর্ধেক ওর।