________________
প্রত্যা
বর্ধমান মনস্থির করে ফেললেন। বর্ষাবাসের এক পক্ষকাল অতীত না হতেই তাই সে আশ্রমপদ পরিত্যাগ করে গেলেন। আর যাই হােক অহিংসাকে তিনি পরিত্যাগ করতে পারবেন না।
পরিগ্রহ ত হিংসাকেই পুষ্ট করে।
বর্ধমান তাই সেখান হতে চলে গেলেন। আর যাবার সময় মনে মনে সঙ্কল্প করে গেলেন :
যেখানে কারু অপ্রীতির কারণ হই সেখানে থাকৰ না। নিয়ত ধ্যানে নিয়ত থাকব। অধিকাংশ সময় মৌনাবলম্বনে কাটাব। করতলে ভিক্ষা গ্রহণ করব। গৃহস্থের বিনয় করব না।
তখন বর্ষা ঋতু। মেঘের দল ভেসে চলেছে হিম শিখরে। পৃথিবীতে পরিব্যাপ্ত তারই শ্যাম ছায়া। শ্যামল হয়েছে আরও বনশ্রী। কিন্তু পথ বলতে আর কিছু নেই। সমস্তই জলমগ্ন।
সেই জলমগ্ন পথেই এসেছেন বর্ধমান অস্থিক গ্রামে। আশ্রয় নিয়েছেন গ্রামের বাইরে শূলপাণি যক্ষায়তনে।
এই গ্রামের অস্থিক নামের এক ইতিহাস আছে। কারণ এর নাম আগে অস্থিক ছিল না। ছিল বর্ধমানপুর। কি করে সেই নামের পরিবর্তন ঘটল তার সঙ্গে সেই ইতিহাস জড়িত। শূলপাণি যক্ষায়তনেরও।
সে অনেককাল আগের কথা। কৌশাম্বীর এক শ্রেষ্ঠ ধনবাহ বেরিয়েছেন বাণিজ্য করতে। বাণিজ্যের পথে তিনি এসেছেন বর্ধমানপুর।
| সেকালে বর্ধমানপুরে প্রবেশ করতে গেলে ৰেগৰতী নদী পার হতে হত। নদী অবশ্য নামেই বেগৰতী কিন্তু এমনিতে ক্ষীণতা। তাই এক বর্ষাকাল ছাড়া বালিয়াড়ি ভেঙ গাড়ী পায়ে নেয়া যেত।