________________
বর্ধমান মহাবীর ব্যতীত হয় ধ্যানে নয়ত আত্মচিনে। তাই ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের কথা তার মনেই আসে না। আর সেই অবসরে কুটিরে ছাওয়া ৰিচালি লতাপাতা গাই বাছুরে খেয়ে যায়।
বর্ধমান এসবের খবর রাখেন না। কিন্তু আশ্রমবাসীদের এদিকে চোখ আছে। তারা ভাবেন বর্ধমানের এ ইচ্ছাকৃত অবহেলা । অপরের আশ্রম—তাই। এ নিয়ে তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথা বলাবলি করেন।
শেষে সেকথা কুলপতিরও কানে ওঠে। তিনি একদিন তাই বর্ধমানকে ডেকে ভৎসনা করে বললেন, সৌম্য, পাখিরাও যে নীড় বাঁধে তাকে তার সঙ্গে রক্ষা করে আর তুমি ক্ষত্রিয় সন্তান হয়ে নিজের কুটির রক্ষা করতে পার না?
সেকথা শুনে বর্ধমান ভাবতে লাগলেন। ভাবতে লাগলেন তিনি কুটির রক্ষা করবেন না আত্মানুধ্যান। যােগক্রিয়ায় বিদেহানুভূতি লাভ করবেন না গাইবাছুর তাড়িয়ে গাহস্থ ধর্ম পালন। | গাহস্থ ধর্মই যদি পালন করবেন তবে তিনি কেন শ্ৰমণ দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন?
তাছাড়া এতে পরিগ্রহ।
পরিগ্রহ ত কেবলমাত্র বস্তু সঞ্চয়ই নয়, এই মমত্ববোেধ। বিষয়ে মমতা।
জ্ঞানীর আত্মদেহেই মমতা থাকে না, বিষয়ে ত দূরের।
কুটিরের প্রতি যদি মমতা না থাকে তবে গাইবাছুর তাড়িয়ে কুটির রক্ষা করবেন কি করে? তাই মমত্ব হতেই কি বৈয়ের উদ্ভব হচ্ছে
? বৈর হতে হিংসার? অথচ | না, পরিগ্রহ তিনি করতে পারেন না। মৃত্ব ভয় থাকলে চলে
। | এ আশ্রমবাসী সন্ন্যাসী। এরা সংসার ছেড়ে এসেছেন। কিন্তু সত্যি কী সংসার এদের ছেড়েছে। তাই আশ্রমবাসী হয়ে এ বিষয়চিন্তা করেন। বিষয়ে মম পন্নিত্যাগ করেন নি।