________________
বর্ধমান মহাবীর কত অনুরােধ করল। তবু কারাে কথা কানে নিল না। এইখানেই রয়ে গেল। আচ্ছা দেখা যাবে এর কত সাহস।
রাত তখন নিশুতি। সহসা শূলপাণিৰ অট্টহাসিতে গ্রামবাসীদের ঘুম ভেঙে গেল। শূলপাণি অট্টহাসির সঙ্গে তারা অনেক দিনই পরিচিত। কিন্তু এমন অট্টহাসি তারাও কখনাে শােনেনি। তয়ে তারা শষ্যার ওপর উঠে বসে ইষ্টমন্ত্র জপ করতে লাগল। শিশুরা মায়ের বুকে আর্তনাদ করে কেঁদে উঠল।
সকলেই তখন ভাবছে কেন তারা সেই চৈত্যে বর্ধমানকে থাকবার অনুমতি দিয়েছিল।
| কিন্তু বর্ধমান তেমনি নির্বিকার। সেই অট্টহাসিতেও তার ধ্যান ভঙ্গ হল না।
শূলপাণি বর্ধমানকে সামান্য মানুষ ভেবেছিল। ভেবেছিল তার সেই অট্টহাসিতেই বর্ধমানের হয়ে যাবে। কিন্তু সে যখন দেখল বর্ধমান যেমন ধ্যানে দাড়িয়েছিলেন, তেমনি ধ্যানে দাড়িয়ে রয়েছেন তখন সে ক্রোধে অন্ধ হয়ে হাতী হয়ে শুড় দিয়ে তাকে আক্রমণ
পিশাচ হয়ে নখ ও দাত দিয়ে তাকে ক্ষত বিক্ষত করল। মারী হয়ে শরীরে মােগ যন্ত্রণার সৃষ্টি করল। বর্ধমান অবিচলিত ধৈর্যে সেই সমস্ত উপদ্রব সহ করলেন। সহ্য করলেন তাই তার ধ্যান ভঙ্গ হল না। এই সহ্য করার নামই তিতিক্ষা।
যায় তিতিক্ষা আছে তিনি কোনাে কিছুতেই বা কোনাে অবস্থাতেই বিচলিত হন না। সমস্ত কিছু অদীনমনে সহ করেন।
তিতিক্ষায় বর্ধমান মারী ভয় জয় করলেন। শূলপাণি পরাজিত হয়ে শান্ত হয়ে গেল।
পরদিন সকালে গ্রামবাসীরা বর্ধমানকে দেখতে এসেছে। বর্ধমানকে দেখবে সে আশা তাদের ছিল না। কিন্তু তারা একি