________________
লো
বর্ধমান সেই প্রশ্নের কোনাে প্রত্যুত্তর দিলেন না। সেই প্রশ্ন তাঁর কানেই যায়নি। বর্ধমান তখন ধ্যানের গভীরতায় ডুবে গিয়েছিলেন।
প্রত্যয়ের একতানতাই ধ্যান।
যখন সমস্ত প্রত্যয় মেলে একটি প্রত্যয়ে, আত্মসম্বীতিতে, তখন বাইরের বােধ থাকে না।
গােপ বর্ধমানকে নিরুত্তর দেখে ভাবল, তবে হয়ত বর্ধমান দেখেননি। তাই সে আতিপাতি চারদিকে তাদের খুজে বেড়াল।
সমস্ত রাত ধরে সে বন-বাদাড় খুজে বেড়াল। কিন্তু কোথাও তাদের দেখতে পেল না। তারপর ভােরের দিকে যখন ক্লান্ত হয়ে যেখানে সে প্রথম তাদের ছেড়ে দিয়ে গিয়েছিল সেখানে সে ফিরে এল তখন দেখল বর্ধমান যেমন দাড়িয়ে ছিলেন তেমনি দাড়িয়ে রয়েছেন আর তার বলদ দুটো বর্ধমানের পায়ের কাছে বসে জাবর কাটছে।
এ অবস্থায় কার না রাগ হয়। গােপেরও রাগ হল। ভাবল, সমস্ত জেনে শুনেও বর্ধমান তাকে শীতের সেই অন্ধকার রাতে বনবাদাড়ে ঘুরিয়ে মেরেছেন। সে তখন তার হাতের পাঁচন বেড়ী নিয়ে বর্ধমানকে মারতে ছুটল। মারবে বলে সে পাঁচন ৰেড়ী তুলেও ছিল কিন্তু সহসা কেমন করে তার হাত দুটো মাঝপথে আটকে গেল।
তার হাতও যেই আটকাল, বর্ধমানেরও সেই ধ্যান ভাঙল। দেখলেন তার সামনে দাড়িয়ে দেবরাজ ইন্দ্র।
ইন্দ্র বললেন, দেৰাৰ্য, আপনার প্রাক্তন কর্মের জন্য বারাে বছর ধরে আপনার ওপর এরকম ইতরের উৎপাত চলবে। আপনি যদি চান ত আমি আপনাকে এভাবে রক্ষা করি। | সে এনে ৰধমান একটু হাসলেন। বললেন, দেয়াল, তাৰী অহং নিজের উদ্য, ৰ, ৰীৰ ও পুরুষার্থ ছাড়া করে কোথায় কেবল এর ফয়েছে।