________________
২৪
বর্ধমান মহাবীর পমায়। গৌতম মুহুৰ্তমাত্ৰ সময়ও নষ্ট করাে না। বােধ হয় সেই কথাই ভাবছিল বর্ধমান। আর কি তার চুপ করে বসে থাকলে চলে
সময় নষ্ট করবার মত সময় তার আছে? পৃথিবী যে তার নূতন জন্মের জন্য প্রতীক্ষা করে রয়েছে—সেই শুভলগ্ন কি আজও আসে নি।
ওদিকে নন্দীবর্ধন খুঁজে বেড়াচ্ছেন বর্ধমানকে সবখানে। বর্ধমান সম্পর্কে নন্দীবর্ধনের মনে অকারণ একটা আশঙ্কা রয়েছে।
নন্দীবর্ধন তাকে খুঁজতে খুঁজতে সেইখানে এসে পড়লেন। দেখলেন তার দেহস্থিতি। তার দেহটাই যেন পড়ে রয়েছে, সে নেই।
কোথায় তখন বর্ধমান ?
বর্ধমান তখন চলেছে সেই পথ ধরে যে পথ অনাদ্যন্ত। যে পথ গেছে ঘরের পাশ দিয়ে, কাটা বনের মধ্যে দিয়ে, জোয়ার খেতের বুক চিরে, পাহাড় বনের কোল ঘেঁষে
বর্ধমান কি স্বপ্ন দেখছিল।
স্বপ্ন নয়, তার ভবিষ্যৎ জীবনের আলেখ্য। যে অন্তবিহীন পথ তাকে অতিক্রম করতে হবে সেই পথ। নন্দীবর্ধনের ডাকে বর্ধমানের সংবিৎ ফিরে এল। দেখল সামনে দাড়িয়ে নন্দীবর্ধন। | বর্ধমান উঠে দাড়াল, বলল, দাদা অনুমতি দাও, আমি প্রজা নেব।
প্রব্রজ্যা! এই আশঙ্কাই ছিল নন্দীবর্ধনের মনে। চোখের উদগত অশ্রু দমন করে নিয়ে বললেন নন্দীবর্ধন, তুমি প্রব্রজ্যা নেৰে সে আমরা জানি। বাধাও দেব না তাতে। কারণ তুমি সাধারণ নও আমাদের মত, তুমি অসাধারণ। তবু তার কি এত তাড়া? একে বাবা-মা’র এই শােক, তারপর যদি তুমি চলে যাও
শেষের দিকে কেমন যেন ভারী শােনল নন্দীবর্ধনের কণ্ঠ। আর কিছুদিন কি থেকে যেতে পায় না। নিস্পৃহ কণ্ঠে বলল বর্ধমান, কতদিন? বেশী নয়, দু'ৰহৰ।