________________
২২
বর্ধমান মহাবীর তাই তারা তাৰে ততদিনই ঔদাসীন্য যতদিন না রে বউ আসে।
কিন্তু তা নয়। বর্ধমান আজন্ম উদাসীন। কোন কিছুতে যেমন তার অনুরাগ নেই, তেমনি বিয়াগ। সে বীতরাগ।
কে বীতরাগ ? চক্ষুগ্ৰাহ রূপ। রূপ তাই চোখের বিষয়। এই রূপের প্রতি কে আসক্তি সেই আক্তিই অনুরাগের কারণ। যে বিরক্তি তাই বিরাগে। কিন্তু যার রূপে আসক্তিও নেই, বিরক্তিও না; এ দুয়ের যে অতীত, সে বীতরাগ। | বিরাগও কিছু নয়। কিছু ভালাে না লাগা মানেই কিছু ভালাে লাগা। যেমন আলাে আর ছায়া। আলাে আছে ত ছায়াও আছে। বিরাগ আছে ত রাগও। সেই ত ৰন্ধন।
বন্ধন নেই তার যে বীতরাগ। যার আলােও নেই, ছায়াও নেই। যার ভালােও নেই; মন্দও নেই; যার আসক্তি নেই, বিরক্তিও নেই। যে নি ।
বিতাগী অনেকটা পদ্মপাতার মত। জলে যদিও থাকে তৰু গায়ে জল মাখে না।
সংসার করেও তাই বর্ধমান সংসার করে না। যদিও তার একটি ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে।
মেয়েটি রূপ পেয়েছে মা ও বাপেয় দু'জনেই। যেন এক না জ্যোৎস্না। ত্রিশল। তাই তাকে সব সময় কোলে করে রয়েছেন। ৰাৱৰাৰ বলছেন মেয়েটি কি অনবদ্যা, কি প্রিয়দর্শনা।
সেই হতে মেয়েটির নাম হল অনষ্ঠা, প্রিয়দর্শনা।
বর্ধমানের জন্মের পর আটাশ বছর কেটে গেছে-দীঃ আটা বছর। যদিও মনে হয় সে যেন কালকের কথা। | কিন্তু আর সংসারে থাকা চলে না সে কথা বুঝতে পেলেন সিদ্ধার্থ। তাঁর কানের কাছে চুলগুলাে যে সৰ পাৰুতে আর