________________
পূর্বাশ্রম
ত্রিশলা বললেন, সে ভার থাক আমার ওপর। তুমি নিশ্চিন্ত
ত্রিশলাই একদিন বললেন বর্ধমানকে।
ত্রিশলার ভয় ছিল ওকে রাজী করাতে অনেক কাঠখড় পােড়াতে হৰে তঁাকে, হয়ত যশােদাকেই এনে হাজির করে দিতে হবে ও সামনে। কিন্তু কিছুই প্রয়ােজন হল না। বর্ধমান মেয়েটিকে দেখতেও চাই না। সম্মতি দিয়ে দিল। তুমি যখন বলছ, তুমি যখন দেখেছ, তখন তার ওপর বলবার কি আছে, দেখবার কি আছে?
কিন্তু যে শুনল সেই আশ্চর্য হয়ে গেল। কারণ তার সংসারে অনাসক্তির কথা সকলেরই জানা। সংসারই ত তববন্ধনের কারণ আর তােগাগের। ত্রিশলাও কম আশ্চর্য হন নি। কিন্তু না, যখন সম্মতি পাওয়া গেছে তখন আর বিলম্ব নয়।
কিন্তু আশ্চর্যের কি ছিল এতে! মা'র কথা বর্ধমান শুনৰে সেই ত স্বাভাবিক। কারণ সংসারে মা'র মত গুরু কে? সংযােগে ৩৯। সংসারে যিনি যুক্ত করে দেন সকলের সঙ্গে। তাছাড়া মা'র সেই আর্তির কথা আজও মনে আছে বর্ধমানের-যেদিন মার কষ্ট হচ্ছে বলে গর্ভের মধ্যে সে স্থির হয়ে গিয়েছিল। তাই ত আজও সে এৰা নেয় নি, মা’র কষ্ট হবে বলে।
তাই এক শুভদিনে বর্ধমানের সঙ্গে যশােদার বিয়ে হয়ে
ত্রিশলার এখন বর্ধমানের দিকে চেয়ে দেখবার অবসর নেই। তার সমস্ত সময় কেড়ে নিয়েছে মশােদা। মেয়ে ত নয়, যেন শুভ্রতার একটা প্রতিমূর্তি। ত্রিশলার এখন সমস্ত সময়ের ভাবনা কিসে সে অনেকে, কিসে তার আনন্দ।
আর বর্ধমান? বর্ধমান সংসারধর্ম পালন করে যেমন আর দশজন করে থাকে। তবে বিশেষ আছে।
কিন্তু বিশেষ কাৰু চোখে পড়ে না। না পড়বারই কথা।