________________
বর্ধমান মহাবীর বর্ধমান এখন পা দিয়েছে মােলয়।
বর্ধমানের প্রথম যৌবন। যৌনই এখন বক্ষে এনে দিয়েছে বিশালতা। উরুতে পুষ্টি, কণ্ঠস্বরে মাধুর্য ।
ত্রিশলা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন বর্ধমানের শরীরের। ভাৰতেন, এইত সময়। কোনরকমে যদি তিনি একবার বেঁধে দিতে পারেন বর্ধমানকে উত্তমা বধুর আঁচলে তৰে তঁার আর ভয় নেই।
মেয়েও দেখে রেখেছেন ত্রিশলা। মহাসামন্ত সমবীরের মেয়ে যশােদা--মেয়ে ত নয়, যেন লক্ষ্মীর প্রতিমা।
যেদিন প্রথম দেখেছিলেন তিনি তাকে উৎসবে সেদিন হতেই বরণ করে নিয়েছেন মনে মনে।
বর্ধমানের তুলনা হয় না। কিন্তু যশােদাও কিছু কম নয়। কারণ যেদিন তার জন্ম হয় সেদিন শত্রু এসেছিল তার পিতৃরাজ্য আক্রমণ করতে। সমবীর তাকে পরাস্তই করেন নি, চুলের মুঠি ধরে খ তুলেছিলেন কাটবার জন্য। কিন্তু শেষমুহূর্তে দয়াপরবশ হয়ে ছেড়ে দিলেন। এতে সমবীরের যশ আরও বিস্তৃত হল। তাই সমীয় মেয়ের নাম দিলেন যশােদা। গণৎকারেরা গণনা করে বলেছিল, এই মেয়ে তার সঙ্গে বিয়ে হবে যার বুকে শ্ৰীৰৎস চিহ্ন।
ত্রিশলা যশােদার কথা মনে রেখেই স্বামীকে একদিন বললেন, দুর্লভদৰ্শন ছেলের মুখ ত দেখেছি, এবারে একটি ফুটফুটে বউয়ের মুখ দেখতে চাই।
সেকথা শুনে সিদ্ধার্থ বললেন, ত্রিশলা, তাতে কি আমার অসাধ। যেদিন হতে ওর কপােল শত্রুরেখা দেখা দিয়েছে সেদিন হতে আমারও সে কথা মনে হয়েছে। কিন্তু সেইচ্ছা কি আমাদের পূর্ণ হবে।
হবে হবে, হেসে বললেন ত্রিশলা। এমন মেয়েকে দেখে রেখেছি যাকে দেখলে ও আর না করতে পারবে না। দেখনি তুমি সময়ৰীয়ে মেয়ে যােদাকে ?
হা দেখেছি। হাজারের মধ্যে একটি। শতদলের মধ্যে সহস্রদল। কিন্তু বর্ধমান কী রাজী হবে?