________________
বর্ধমান মহাবীর বেশ! বেশ। কিন্তু দু'একটি প্রশ্ন করতে পারি কি আমি ৰধমানকে। বিনয় বিনম্র ব্রাহ্মণের কণ্ঠস্বর।
নিশ্চয়, নিশ্চয়, বলে উঠলেন আচার্য। বয়সের তুলনায় ও ভাৰতই একটু গম্ভীর। তারপর বর্ধমানের দিকে চেয়ে বললেন, সৌম্য, অভ্যাগত অতিথির প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দাও।
শুনে ব্রাহ্মণ একটু হাসলেন। তারপর বর্ধমানের দিকে চেয়ে বললেন, বর্ধমান, বয়সে নবীন হলেও তুমি জ্ঞানে প্রৌঢ়। তবু বয়সের অধিকারে তােমাকে প্রশ্ন করতে পারি আমি নিশ্চয়ই। আচ্ছা বলত, সংজ্ঞা সূত্রের যথার্থ অর্থ কী? | ব্যাকরণের প্রশ্ন। কিন্তু প্রশ্ন ত নয়। আচার্যের মনের সংশয়ের এক একটি উন্মােচন। চকিত আচার্য আরও চকিত হলেন যখন বর্ধমান তার নির্ভুল জবাব দিল। সংজ্ঞা সূত্রের যে সেই অর্থ হতে পারে তা তার নিজেরই জানা ছিল না।
কিন্তু সেই একটি প্রশ্নই নয়, প্রশ্নের পর প্রশ্ন আর তার নিভুল সমাধান।
সংজ্ঞা সূত্রের। পরিভাষা সূত্রের। বিধি সূত্রের। নিয়ম সূত্রের। প্রতিষেধ সূত্রের। অধিকার সূত্রের। অতিদেশ সূত্রের। অনুবাদ সুরে। ৰিভাষা সূত্রের।
ব্রাহ্মণ তখন বিদায় নিয়েছেন। আর আচার্য। তিনি এতই অভিভূত হয়ে গেছেন যে আসন ছেড়ে উঠে এসে পুলকভরা চোখে তিনি বর্ধমানকে বুকে জড়িয়ে ধরেছেন। আর বলছে : তুমি আমাৰ বিষয়ে এলে সে
কেপড়িগােমার