________________
বর্ধমান মহাবীর | আকাশে চলেছেন দেবতায়া, অভিষেকের সময় অলক হতে অভিষেক করেছেন ইন্দ্র। এখন তাঁর ডান দিক রক্ষা করে চলেছেন। বৰ উঠেছে :
| র য় নন্দ
জয় জয় ভার। ক্ষত্রিয়-কুৎপুরের বাইরে জ্ঞাতষগুৰন উদ্যান। ক্ষত্রিয় কুণ্ডপুরের মধ্য দিয়ে শােভাযাত্রা কমে বর্ধমানকে সেইদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাদ্যতাণ্ড সহকারে। ক্ষত্রিয়-কুণ্ডপুরে এত বড় শােভাযাত্রা এর আগে কেউ কখনাে দেখেনি। নন্দীৰধন এই মহা-অভিনিষ্ক্রমণকে স্মরণীয় করবার জন্য রাজকোষ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
তারপর দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে সেই শােভাযাত্রা এসে থামল অশােক গাছের নীচে। বর্ধমান তখন পাকা হতে বেরিয়ে এল। তারপর একে একে খুলে ফেলল তার দেহের সমস্ত আভরণ—অঙ্গ, কিরীট, কেয়ুর। এক কুলবৃদ্ধা সেগুলাে তুলে নিয়ে বলল, কুমার, তােমাকে উপদেশ দেই এমন সাধ্য কী? কারণ তুমি সকল জ্ঞানে জ্ঞানী। তবুও স্নেহের অনুরােধে তােমাকে দু'একটি কথা বলি। পু, তুমি তীব্রগতিতে পথ অতিক্রম করবে, তােমায় গৌরবের দিকে লক্ষ্য রাখবে। ক্ষুরধারের মত নিশিত এই পথ। প্রমাদহীন হয়ে মহাব্রত পালন করবে। জ্ঞান, দর্শন ও চারিত্র দিয়ে ইন্দ্রিয়কে সর্বদা বশীভূত রাখৰে ও সমস্ত রকম প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েও নিজের সঙ্কল্প হতে চ্যুত হবে না। কঠোর তপস্যা দ্বারা রাগ ও দেবকে নিতি করবে ও উত্তম খ্যানের ধারা মােমপদ লাভ কৰে।
কুলবৃদ্ধার উপদেশ শেষ হলে ৰমান পাঁচৰায়ে নিজের হাতে মুঠোয় করে তুলল মাথায় চুল। তারপর একখানা দেয় বস্ত্র বঁধে ফেলে মনে মনে বলল, সবং মে অকণিজং পাৰকং। আজ থেকে সমস্ত পাপকর্ম আমার পক্ষে অত্য।
তখন চন্দ্রের উত্তয়া-কাভনী নক্ষত্রের যােগ, বেলা চতুর্থ প্রহর। গাছের ছায়া পড়েছে পূৰের দিকে, গাছের পাতার ফাক দিয়ে শেষ