________________
পূর্বাশ্রম করেছে। জয়া এসেছে এ তারই এমন। জীবনে অনেক ভােগই ত করেছেন এখন ভােগ বিরতি। তাই একদিন ডেকে বললেন ত্রিশলাকে, এবার সংসার হতে বিদায় নিতে হয়, কি বল ?
কি আর বলবেন ত্রিশলা। মনের মধ্যে একবার প্রিয়দর্শনা মুখখানা ফুটে উঠল। কিন্তু তখনি মনে হল তাঁদের অনেক বয়স হয়েছে। এখন সময় হয়েছে সংসারের জাল-জঞ্জাল হতে সরে যায়। তাই ধীরে ধীরে বললেন, তােমার যা মত আমারও সেই মত। • শুনে সিদ্ধার্থ খুশী হলেন।
তারপর রাজ্যভার নন্দীবর্ধনের হাতে তুলে দিয়ে সব কিছু হতে নিজেদের বিশ্লিষ্ট করে নিলেন। সংসারের ভার বহন করবার পর বহন করতে হয় সংষম ভার।
সংযম ভাই বহন করতে শুরু করলেন এখন রাজা সিদ্ধার্থ, রাণ ত্রিশলা। কঠিন তপশ্চর্যায় ক্ষয় করলেন জন্ম জন্ম সঞ্চিত কমমল। শেষে অনশনে মৃত্যু বরণ করলেন।
তাঁদের মহাপ্রয়াণের খবর দেওয়া হল বর্ধমানকে। বর্ধমান সে খবর বীরভাবেই গ্রহণ করল। তারপর চেয়ে দেখল আকাশের দিকে। দেখল আকাশের নিঃসীম আলােয় যেন সব কিছু তার অবারিত হয়ে গেছে।
বর্ধমান ধীরে ধীরে এসে বসল সেই সমােবথের ধারে যেখানে হােটবেলায় সে খেলে বেড়াত তমালবনের ছায়ায় ছায়ায়।
ঝুরঝর করে ঝরছে তখন গাছের পাতা, হাওয়ায় হাওয়ায় দোল। খেয়ে। ঝরছে আর উড়ে এসে পড়ছে তার গায়ে, মাটিতে, সেই দীঘির জলে। কি জানি কি ভাবছিল সে। তবে অনেক কাল পরে বলেছিল সে গৌতমকে, যেমন করে ঝরছে গাছের পাতা কাল বশে জীর্ণ হয়ে তেমনি মানুষের জীবন। আয়ুশেষে এও ঝরে পড়বে তাই চুপ করে বসে খেকো না, চেষ্টা কর অভীপ্সিত লক্ষ্যে পৌছায়। সময় নষ্ট করৰার মত সময় কি তােমার আছে। সময় গােয়ম ম