________________
পূর্বাশ্রম
বর্ধমানের অনেক সঙ্গী। সমবয়সী তারা প্রায় সকলেই। খেলা করে তারা সিদ্ধার্থের প্রমোদ উদ্যানে সকালে বিকালে আমলকী খেলা, তিন্দুক খেলা।
সেই উদ্যানে কতদিনের কত প্রাচীন গাছ। শ্বেত পুপের সম্ভারে সাদা হয়ে থাকে তাদের শিখর। মনে হয় সূর্যাশের মুখ হতে গলে পড়েছে শুভ্র ফেনা। আর কত যে লতামণ্ডপ-যেখানে কেবলি ঝরে থাকে পীত মঞ্জরীর পুঞ্জ। বাতাসে বনের সুবাস ভাসে। | সেই উদ্যানের মাঝখানে বৃহৎ এক সমােবন। পদ্মের মধু তা তার জল। কত যে মরাল সেখানে খেলা করে লীলাভরে। সন্ত ফোটা পদ্মের মতই তাদের গায়ের রঙ। ভ্রমরেরা ফুলগুলির ওপর ছায়া ফেলে গুনগুন করে।
| এ হেন প্রমােদ বনে সমােবরের ধারে ধারে তমাল বনের বীথিতে বীথিতে ছেলেরা খেলে বেড়ায়, দোল খায় গাছের ডালে উঠে।
সেদিনও ছেলেরা খেলা খেলছিল। আমলকী খেলা। সমােবয়ের পশ্চিম তীরে গ্রোথ গাছের শিখরে উঠে যে সকলের আগে নেমে আসবে সে সকলের পিঠে চড়বে।
ছেলে। ছুটে গিয়ে গাছে উঠতে যাবে কিন্তু দেখে গাছের গুড়ি জড়িয়ে রয়েছে একটা সাপ। ভয়ে সকলেই পেছনে হটে এসেছে কিন্তু বর্ধমান? সে ভয়ে পেছিয়ে যায়নি, সে এগিয়ে গিয়ে সাপটাকে ধরতে গেছে।
বর্ধমানের কাণ্ড দেখে উৎকণ্ঠায় ছেলেদের মুখ বিবর্ণ হয়ে গেছে। বর্ধমানের কী হবে? দেৰী কি বলবেন? সে কথা তারা ভাবছে।
কিন্তু বর্ধমান ততক্ষণে সাপটিকে লেজ দিয়ে ধরে ঝটকা মেরে দূরে ফেলে দিয়ে তরতর করে গাছে উঠে পড়েছে।
সেই সাপ আর কেউ নয়, ইন্দ্রের কথা আর বিশ্বাস হয়নি সেই দে ।
ছেলেরা নিশ্বাস কি করে এত বধমানের কাণ্ড দেখছিল।