________________
বর্ধমান মহাবীর দিয়েছেন, বন্দীদের করেছেন ৰন্ধনমুক্ত। ঘােষণা করেছেন যার যা। প্রয়ােজন বিপণি হতে সংগ্রহ করে নিয়ে যাক—রাজকোষ হতে অর্থ দেওয়া হবে, যেন আনন্দের দিনে কার কোথাও কোনাে চাওয়া থাকে।
বর্ধমান রাজকীয় বৈভবের মধ্যে বড় হয়ে উঠছে।
কুমার নন্দীবর্ধন অগ্রজত্বের অধিকারে যদিও পিতার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী তবু বর্ধমান সকলের প্রিয় হয়েছে। সে চক্রবর্তী রাজা হবে না তীর্থংকর তার জন্য নয় কারণ সে কথা কেই বা সব সময় মনে করে রাখে, প্রিয় হয়েছে তার রূপ ও লাবণ্যের জন্য, তার অনুপম স্বভাব ও চরিত্রের জন্য। বর্ধমানের রূপ দলিত মনঃশীলার মত। আর লাবণ্য আমঞ্জরীর মকবন্দের মত যা পায়ে পায়ে ঝরে পড়ে। তাই তাকে ভালাে না বেসে পারা যায় না।
কিন্তু সব চেয়ে আশ্চর্য তার চোখ। আকৰ্ণ বিস্তৃত, টানা-টানা। যেন ধ্যানীর চোখ। তাই মুহূর্তের অদর্শন বিচ্ছেদ ব্যথার মত। ত্রিশল। তাই সর্বদাই বর্ধমানকে চোখে চোখে রেখেছেন। মুহূর্তের জন্যও চোখের আড়াল করেন না।
এমনি দিনের পর দিন যায়, মাসের পর মাস। বর্ধমান ক্রমশই বড় হয়ে ওঠে।
সৌধর্ম দেবসভায় সেদিন ই বর্ধমানের বলের প্রশংসা কয়েছিলেন, তার সাহস ও ধৈর্যের। বালক হলে কি হয়, বর্ধমান তেজে সূর্য, প্রতাপে ৰহি। তাকে পরাস্ত করে এমন ক্ষমতা "দেবতাদেরও নেই। না, ইরেও না। কিন্তু সে কথা বিশ্বাস হল
একজন দেৰতায়। তিনি ভাবলেন বর্ধমানের এত কি শক্তি। তিনি বর্ধমানের শক্তি পরীক্ষা করতে এলেন।
বর্ধমানের বয়স তখন সাত। সাত ঠিক নয়, সাত পেরিয়ে আটে সে পা দিয়েছে। নুতন কৈলাের।