________________
বর্ধমান মহাবীর শ্লাঘ্য আমার জীবন। চোখের জলের মধ্যে দিয়ে হাসি ফুটে উঠল আবার ত্রিশলার মুখে। তিনি সিদ্ধার্থের হাত ছেড়ে দিলেন। বললেন, ব্যাৰ ভয়ে ভীতা হরিণীর মত আমার মন। কিন্তু না, আর তা রাখৰ না।
ভয় রাখবেন না তিনি কি করে? কারণ যে আসছে সে নির্ভয় করতেই আসছে এই পৃথিবীকে।
আশ্বিনের কৃষ্ণা এয়ােদশীর পর এল চৈত্র শুক্ল প্রয়ােদশী, খৃষ্ট জন্মের ঠিক ৫৯ বছর আগে। ত্রিশলা বসেছিলেন অলিন্দে। এমন সময় প্রসববেদনা উঠল। প্রসববেদনা উঠতেই তিনি তাড়াতাড়ি গিয়ে এসৰঘরে ঢুকলেন।
তারপর দেখতে দেখতে প্রসব হয়ে গেল। এতটুকু কষ্ট হল না। ঘয়ে তখন গাঢ় চন্দনের গন্ধ উঠেছে। ঘরের মণিদীপের আলাে অলৌকিক একটা জ্যোতিতে যেন আরাে প্রদীপ্ত হয়ে উঠেছে।
আর বাইরে। বাইরে তখন এয়ােদশীয় প্রায় পূর্ণাবয়ব চাদ মাথার ওপর উঠে এসেছে। মেঘহীন আকাশে কেবল তারই নির্মল শুভ্রতা। কোথাও এতটুকু আবরণ নেই। সেই শুভ্রতায় অদৃশ্য হয়ে গেছে তারার ঝাঁক। ধপ ধপ করছে মাঠ, ঘাট, বাট।
হস্তোত্তর উত্তরা-ফানীর যােগে এল নবজাতক, এল মহাজীবন।
সিদ্ধার্থ বিশ্রামাগারে ছিলেন। পরিচারিকা প্রিয়ভাষিতা সেই আনন্দসংবাদ তাঁর কাছে বহন করে নিয়ে এল।
সিদ্ধার্থ কত হতে সাতনলী হার খুলে পুরস্কৃত করলেন প্রিয় ভাষিতাকে। তারপর উঠে গেলেন নবজাতককে দেখৰাৰ ।
শুধু সিদ্ধার্থই নন, নবজাতককে দেখবার জন্য এসেছেন আর অনেকে। মন্ত্রী এসেছেন, এসেছেন সামন্ত নৃপতিয়া আর পুরন। আরও আগে অলক্ষ্যে এসেছিলেন দেশনিকায় সহ দেয়া।