________________
বর্ধমান মহাবীর | ত্রিশলা তাদের কথা মেনে চলেন। তাদের উৎকণ্ঠায় আনন্দিত হন।
কিন্তু এত সাবধান-সতর্কতা সত্ত্বেও একদিন অঘটন ঘটল।
ত্রিশলা সেদিন শুয়েছিলেন ইন্দুকান্ত-মণি পালঙ্কের ওপর অর্ধশয়ান। গর্ভের সঞ্চালনাত যন্ত্রণায় তিনি ছিলেন একটু অস্থির। পাশে দাড়িয়ে ৰীজন করছিল চামগ্ৰাহিণী। হঠাৎ তাঁর মনে হল গর্ভের সঞ্চালন যেন বন্ধ হয়ে গেছে। তৰে কিতঁার গর্ভ নষ্ট হয়ে গেছে? ত্রিশলা সে কথা মনে করতেই তার মনে হল তার পায়ের তলার মাটি যেন সরে গেছে। তিনি দুখার্তা হয়ে আর্তনাদ করে উঠলেন, হায় আমার কী সর্বনাশ হল?
কি আর সর্বনাশ হবে? সখীরা ভাল দেবী কোনাে অমঙ্গল আশঙ্কায় দুঃখার্তা হয়েছেন, নয়ত যন্ত্রণায় অস্থির। তাই তারা তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে উঠল, স্বামিনি, অমঙ্গল চিন্তা শান্ত কর। গর্ভের কুশলতার কথা মনে করে নিজের কষ্টের কথা ভুলে যাও।
গর্ভের যদি কুশল তবে আর আমার দুঃখ কী? বলে মূৰ্ছিতা হয়ে পড়লেন ত্রিশলা।
তখন চারদিকে সাড়া পড়ে গেল। সখীরা কেউ বা বাটিতে কয়ে চন্দনপঙ্ক নিয়ে এল, কেউ বা ভৃঙ্গারে করে সুরভী শীতল জল। কেউ বা জলের ছিটা দিয়ে ত্রিশলার মুখ মুছিয়ে দিল কেউ বা শিথিল করে ধুইয়ে দিল তার ঘন কালাে চুল।
ত্রিশলার মূছা ভঙ্গ হল।
ত্রিশলা যেখানে শুয়েছিলেন সেখানে মাথার ওপর মন্দাকিনীর শুভ্র ফেনার মত দুকূল-বিতান। সেই বিতানের দিকে অর্থহয়া দৃষ্টি মেলে নিজের মনের মধ্যেই যেন বলে উঠলেন ত্রিশলা—দৈৰকর্তৃক সপহরণে আমি দুঃখিত। জীবনে আর আমার কাজ কী?
বলতে বলতে ত্রিশলা আৰাৰ মূৰ্জিত হয়ে পড়লেন। গর্ভের অকুশল সংবাদ ততক্ষণে সৰখানে প্রচারিত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে