________________
পূর্বাম ককিয়া বেত্রাক্ষালন করেও তা শান্ত করতে পারল না। সিদ্ধার্থ তাদের দুরবস্থা দেখে হাসতে হাসতে তাদের নিবৃত্ত করে প্রচুর দানদক্ষিণ দিয়ে নৈমিত্তিকদের বিদায় দিলেন। তারপর সেদিনের মত সভা বিসর্জিত হল।
সভা বিসর্জনের পর সিদ্ধার্থ ত্রিশলার কক্ষে এলেন। ত্রিশলা তখন সেখানে মর্মর পীঠকার ওপর বসে তারই প্রতীক্ষা করছিলেন। সিদ্ধার্থকে আসতে দেখে তিনি উঠে দাড়ালেন। এগিয়ে গিয়ে তাকে ঘরে নিয়ে এলেন। তারপর রাজ-আভরণ খুলতে খুলতে বললেন, আর্যপুত্র, আজ আমার কী আনন্দ।
সিদ্ধার্থ ত্রিশলার আনন্দিত মুখের দিকে চেয়ে দেখলেন। তারপর তঁাকে দু'হাতে নিজের বুকের কাছে টেনে নিলেন। বললেন, ত্রিশলা, তােমাকে পেয়ে এতদিনে আমি ধন্য হলাম।
সেকথা শুনে ত্রিশলার মুখে একটা সলজ্জ হাসি ফুটে উঠল। ত্রিশ কোনাে কথা না বলে স্বামীর বুকে মুখ রাখলেন।
| ত্রিশলা এমনিতেই রূপসী। কিন্তু এত রূপ বােধ হয় তার কোনাে কালেই ছিল না। কারণ এ ত পার্থিব রূপ নয়, অপার্থিব। ঠিক সূর্যোদয়ের আগের অরক্তিম আকাশেষ রূপ।
সেই রূপ অহরহ দেখেও তৃপ্তি হয় না। হয় না তাই সিদ্ধান্ত চেয়ে থাকেন ত্রিশলায় মুখের দিকে। যতই দেখেন ততই দেখবার বাসনা জাগে। সিদ্ধার্থ মনে মনে ভাবেন আতকে আসবার সম্ভাবনাতেই কি ওর দেহে বিশ্বের লাৰণ্যৰাৰিধি উদ্বেলিত হয়ে উঠেছে।
বোধ হয় সখীরাও সেই কথাই ভাৰে। ভাৰে বলেই তাদের কত সাৰধান ৰাণী, কত অযাচিত উপদেশ : সখি, ম ম হাঁটৰি। ধীরে ধীরে কথা বলৰি। কোণ কখনাে কৰি না। মাটিতে মনে বি না।