________________
পূর্বাম
স্নান করে নিতে হবে। স্বপ্নফল নৰাৰ আগ্ৰহ তাকেও স্বরান্বিত
করেছে।
তারপর দিনের প্রথম যাম উত্তীর্ণ হবার আগেই আস্থান মণ্ডপে সভা বসল। সিদ্ধার্থ মানান্তে আমােদি মালতী কুসুমের মালা গলায় দুলিয়ে পরিজন পরিবৃত হয়ে সিংহাসনে এসে বসলেন। তাঁকে ঘিরে বসল তপালক, তলবর ও মাণ্ডবিকেরা। ভদ্রাসনে যবনিকার অন্তরালে বসলেন ত্রিশলা সপৰিকরে। আর ঠিক সামনে ঈষৎ উঁচু বেদীর ওপর নৈমিত্তিকদের আসন। তারাও রাজার দ্বারা সম্মানিত হয়ে আসন গ্রহণ করেছেন। স্বপ্নের ফল জানবার আগ্রহ এখন ত্রিশলা ও সিদ্ধার্থেরই নয়, সকলের। সকলের দৃষ্টি তাই নৈমিত্তিকদের ওপর।
নৈমিত্তিকেরা ততক্ষণে বিচারে প্রবৃত্ত হয়েছেন। কৃট সেই বিচায়। শাস্ত্রে যে বাহাত্তর রকম স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে তার লক্ষণ ও ফলাফল বিচার। বাহাত্তর রকম স্বপ্নের মধ্যে বিয়াল্লিশটি সামান্য ফলদায়ী। বাকী তিরিশটি উত্তম ফলদায়ী। এরকম স্বপ্ন ভাগ্যবতী রমণীরাই দেখে থাকেন। জাতক গর্ভে এলে ভাবী তীর্থংকর বা চক্রবর্তীর মা দেখে থাকেন চৌদ্দটি, বাসুদেবের মা সাতটি, বলদেবের মা চারটি, মালিক দেশাধিপতির মা একটি। মহারাণী যখন চৌদ্দটি স্বপ্ন দেখেছেন তখন অচিরেই যে তিনি সর্বজ্ঞ তীর্থংকর বা চক্রবর্তী রাজার জন্ম দেবেন তাতে সন্দেহ নেই।
কিন্তু হস্তী দর্শনের কি ফল? জাতক পরচক্র দমন করবে, নয়ত ষড়রিপু।
বৃষের মত সংসার ভার বহন করবে, নয়ত সংষম ভার।
সিংহ।
পরম শত্রুও তাকে দেখে ভীত হবে, ভাৰ ৰৈী নির্জিত হবে। লী ?