________________
বর্ধমান মহাবীর তবুও, বললেন সিদ্ধার্থ, কাল সকালে নৈমিত্তিকদের ডেকে পাঠান। তাদের মুখেই শােনা যাবে বিশদভাবে স্বপ্ন ফল। কি বল?
আমিও তাই বলি—বললেন ত্রিশলা। ত্রিশলা কিন্তু তখন তখনি উঠে গেলেন না। সেইখানে বসে রইলেন সােনার দাড়ে যেখানে সুগন্ধি বর্তিকা অগছিল তার দিকে চেয়ে। ঘরে তারই মৃদু গন্ধ।
এমনিভাবে কতক্ষণ কেটে যেত কে জানে। কিন্তু সহসা সিদ্ধার্থ ত্রিশলার পিঠে হাত রেখে বললেন, তুমি না হয় আজ এখানেই শােও, রাত আর বেশী নেই। তােমার ঘরে নাই বা ফিরে গেলে।
সিদ্ধার্থ ভাবছিলেন, ত্রিশলা হয়ত স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়েছেন, তাই নিজের ঘরে ফিরে যেতে চান না।
না, তা নয় বলে একটুখানি সরে বসলেন ত্রিশলা। বললেন, একটা অপূর্ব অনুভূতির মত মনে হচ্ছে আমার, মনে হচ্ছে আমি যেন মধ্যাহ্ন সূর্যকে গর্ভে ধরেছি। আমার সমস্ত শরীরের ভেতর দিয়ে তারই জ্যোতি চারদিকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে। মধ্যাহ্ন সূর্যের অথচ দাহ নেই। চাদের মত শীতল, যেন চন্দন কাদে ভেজানাে।
সিদ্ধার্থ কিছু বুঝতে পারলেন না। তাই বিস্মিতের মত ত্রিশলার মুখের দিকে চেয়ে রইলেন। বললেন, আশ্চর্য !
ত্রিশলা তারপর নিজের ঘরে ফিরে গেলেন। কিন্তু সে রাত্রে তিনি আর দুমুলেন না। স্বপ্ন রক্ষার জন্য জাগরিকা দিয়ে উষার আলাের প্রতীক্ষা করে সমস্ত রাত পালঙ্কে বসে কাটিয়ে দিলেন।
তারপর ভােরের আলাের সঙ্গে সঙ্গে পূবের আকাশ যখন করা হয়ে এল ত্রিশলা তখন উঠে দাড়ালেন। তারপর আস্থান-মণ্ডপে যাবার অন্য প্রস্তুত হতে গেলেন।
. ওদিকে ততক্ষণ মামদােষী দুতীর শব্দে সিদ্ধার্থেরও ঘুম ভেঙে গেছে। তিনিও শয্যা ত্যাগ করে নৈমিত্তিকদের ভাবায় আদেশ দিয়ে ব্যায়ামশালে এৰেশ করেছেন। আজ এটু সকাল সকালই