Book Title: Vardhaman Mahavira Author(s): Ganesh Lalwani Publisher: Ganesh Lalwani View full book textPage 8
________________ বর্ধমান মহাবীর গিয়ে তিনি দেখতে পেলেন পৃথিবীতে তীর্থংকরের অবতরণ হয়েছে। কিন্তু কী আশ্চর্য! কোনাে ক্ষত্রিয়াণীর গর্ভে না হয়ে, ব্রাহ্মণী দেনার গর্ভে। কিন্তু ক্ষত্রিয় গৃহের রাজ্যঞ্জ, সম্পদ ও বিপুল বৈভৰ ছাড়া ত কখনাে তীর্থংকরের জন্ম হয় না। তবে বর্ধমানের বেলায় কেন তার ব্যতিক্রম হল। সেকথা ভাবতে গিয়ে ইন্দ্রের চোখের সামনে বর্ধমানের এক পূর্ব জন্মেয় ঘটনা ফুটে উঠল। সে জন্যে সে এম চক্রবর্তী ভারতের পুত্র ও প্রথম তীর্থংকর ভগবান ঋষভদেবের পৌত্ররূপে ইকুকুলে জন্ম গ্রহণ করেছিল। সে জন্মে তার নাম ছিল মরীচি। মরীচি তখন শ্রমণ ধর্ম পালনে অসমর্থ হয়ে পরিব্রাজক হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেসব দিনের একটি দিন। ভরত একদিন তাকে এসে প্রণাম করলেন। বললেন, মরীচি, আমি তােমার এই পরিব্রাজকত্বকে প্রণাম করছি না, প্রণাম করছি অন্তিম তীর্থংকরকে। কারণ, ভগবান এই মাত্র তােমার সম্বন্ধে এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে তুমি এই ভরত ক্ষেত্রে ত্রিপৃষ্ঠ নামে প্রথম বাসুদেব, মহাবিদেহে প্রিয়মিত্র নামে চক্রবর্তী ও পরিশেষে এই ভারতবর্ষে বর্ধমান-মহাবীর নামে এই অবসর্গিণীর শেষ তীর্থংকর হবে। সেকথা শুনে মরীচি আনন্দে নৃত্য করে উঠল। বলল, আমি বাসুদেব হৰ। চক্রবর্তী হব। তীর্থংকর হব। আর আমার কী চাই। বাসুদেবে আমি প্রথম, চক্রবর্তীতে আমার পিতা, তীর্থংকরে আমার পিতামহ। উত্তম আমার কুল। মরীচির সেই কুলগর্বের জন্যই বর্ধমান আজ হীনকুলে জন্ম গ্রহণ করতে চলেছে। কিন্তু তাই বা কেন? যখন তীর্থংকর ক্ষত্রিয়কুল ছাড়া অন্যকুলে জন্মগ্রহণ করেনি তখন বর্ধমানও করবে না। ইত্ৰ তখন ডাক দিলেন তাঁর অকুচর হরিণৈগমেষীকে। বললেন, তীর্থংয়ের গর্ভ দেবানন্দার কুকী হতে অপসারিত করে ক্ষত্রিয়া, ত্রিশলার গর্ভে রেখে এসাে ও ত্রিশলার গর্ভ কেনার কুকাতে। 'Page Navigation
1 ... 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40 41 42 43 44 45 46 47 48 49 50 51 52 53 54 55 56 57 58 59 60 61 62 63 64 65 66 67 68 69 70 71 72 73 74 75 76 77 78 79 80 81 82 ... 207