________________
পূর্বাশ্রম
১১ নগরীতে উৎসব ও নাটকাদি। মন্ত্রী ও অমাত্য হয়ে পড়েছেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। দৈবের কী প্রতিকার করবেন তারা। পায়ের চলবার শক্তি নেই তবু এসেছেন ভবনদ্বারে। পুরবাসীরাও সেখানে সমবেত হয়েছে বিশদ জানবার জন্য। যে পুরী একটু আগেই আনন্দোচ্ছল ছিল সেই পুরী শশাকের মতই এখন ম্রিয়মাণ, শ্রীহীন,
গর্ভের সঞ্চালনে মায়ের অস্থির ভাব দেখেই না স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বর্ধমান ভেবেছিল ওতে যদি মায়ের কষ্টের খানিকটা লাঘব হয়। কিন্তু ত্রিশলা গর্ভের ওই স্থির হয়ে যাওয়াকেই ভাবলেন নষ্ট হয়ে যাওয়া। তাই তার এই আর্তি। বর্ধমান দেখল সেই আতি। হায়! যে সন্তান এখনাে জন্ম গ্রহণ করেনি, যাকে চোখেও দেখেন নি তিনি এখনাে, তার জন্য তার একি ব্যাকুলতা! কিন্তু বর্ধমান সেই ব্যাকুলতাকে ছােট করে দেখল না। বরং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল। আমার জন্য যখন মা'র এই কষ্ট তখন তাঁর বেঁচে থাকতে তাঁকে কষ্ট দিয়ে আমি প্রব্রজ্যা গ্রহণ করব না।
তালবৃন্তের ব্যঞ্জন দিয়ে সখীরা আবার ত্রিশলার সংজ্ঞা ফিরিয়ে এনেছে।
সিদ্ধার্থ তখন ত্রিশলার হাত নিজের হাতের মধ্যে টেনে নিয়ে তাঁকে সান্ত্বনা দিতে বসেছেন। না, না, ত্রিশলা, এ কখনো হতে পারে না। শােননি নৈমিত্তিকদের ভবিষ্যদ্বাণী। তাই মন হতে অকারণ আশঙ্কাকে দূর করে দাও। এমনি যদি অঘটন ঘটৰে তৰে কেন হবে সবখানে উন্নতি ? ওর আসর সূচনাতেই না আমাদের ৰল, শ্রী ও সম্পদ।
দলিতান চোখ ছাপিয়ে ত্রিশলার জল ঝরে পড়ল। তিনি সিদ্ধার্থের হাত চেপে ধরলেন। বললেন, সত্যি বলছ?
সত্যি বলছি, ত্রিশলা। হ্যা সত্যি, এই যে গর্ভ সঞ্চালিত হয়েছে। যা আমি, পুণ্য আমি,