________________
২৷৷
ছিল। ব্রাহ্মণ ছিল না। সকলেই জৈন ধর্ম মানিত। তারপর ইন্দ্রজাল-বিদ্যাবিৎ বিদ্যাধরগণের উদ্ভব হয়। তারপর ইক্ষাকু বংশ ও চন্দ্র বংশের উদ্ভব হয়। এইকালে দ্বিতীয় তীর্থংকর অজিতনাথ প্রাদুর্ভূত হন। বানর দ্বীপে কিষ্কিন্ধ্যাপুর নামে এক নগর আছে। বানরেরা পশু নহে, বিদ্যাধর। তােরণে, পতাকায়, গৃহচূড়ায়, রথশীর্ষে বানরের চিহ্ন ব্যবহার করার জন্য তাহাদিগের নাম বানর বা বানর-ধ্বজ ।*
লঙ্কা দ্বীপে রাবণ, রাবণ-ভগিনী চন্দ্রমুখা, রাবণ-ভ্রাতা ভানুকর্ণ এবং বিভীষণের জন্ম হয়। তপস্যা প্রভাবে ইহারা সকলেই অলৌকিক-শক্তিসম্পন্ন ও ইন্দ্রজাল-বিদ্যাবিৎ হয়। যে বংশে রাবণ জন্মগ্রহণ করে সেই রাক্ষস বংশীয়গণ নরখাদক ছিল না, তাহারা ছিল বিদ্যাধর। রাবণের গর্ভধারিণী বিচিত্রশক্তিসম্পন্ন মুক্তার মালা রাবণের গলায় জড়াইয়া দিয়াছিলেন। সেই সকল মুক্তায় রাবণের মস্তকের প্রতিবিম্ব পড়ায় সেই প্রতিবিম্বিত মুক্তাগুলি এক একটি মস্তকের মত দেখাইত। এইরূপে নয়টি প্রতিবিম্ব রাবণের মস্তক বেষ্টন করিয়া দেখা যাইত বলিয়া রাবণের নাম হয় দশানন’, বস্তুতঃ পক্ষে রাবণের মাথা একটাই ছিল। মহারাজ রাবণ পরম জৈন ছিল, জৈন সাধুদিগের সৎকার করিত এবং বহু জৈন মন্দির নির্মাণ করাইয়াছিল। এইকালে ব্রাহ্মণদিগের উৎপত্তি হয় এবং জৈনদিগের সহিত তাহাদিগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরব্ধ হয়। এক ব্রাহ্মণের ‘পর্বত’ নামে এক পুত্র ও নারদ নামে এক
*পশ্চিম মহা পর্বতে স্থিত বনবাস’ নগরের ‘কদম্ব’ রাজগণ ৫৬৬ খ্রস্টাব্দ পর্যন্ত তাহাদের রাজ-পতাকায় বানর-চিহ্ন ব্যবহার করিতেন এবং ‘বানর-ধ্বজ’ নামে বিদিত ছিলেন।
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org