________________
৩৮৩ ও জনপ্রিয় জৈন রূপকথাটি এইরূপ : রাজকুমার মহাবল ও রাজকুমারী মলয়-সুন্দরী রহস্যাচ্ছন্ন উপায়ে বারে বারে মিলিত ও বারে বারে বিচ্ছিন্ন হয়। এইসব মিলন ও বিচ্ছেদের সূক্ষ্ম হেতু বিশ্লেষণ করিয়া পূর্বজন্ম-বিবরণ দেওয়া হইয়াছে। সর্বশেষে মহাবল সর্বজ্ঞত্ব লাভ করে এবং . মলয়-সুন্দরী যশস্বিনী সন্ন্যাসিনী হয়। | দিগম্বর জৈন সােমদেবসূরি কৃত যশস্তিলক চন্দু ৯৫৯ খ্রস্টাব্দে লিখিত, গদ্য ও পদ্যে মিশ্রিত [ বােম্বাই কাব্যমালা ৭০, ১৯০১ ]। সংস্কৃত ভাষা। যৌবন-মদমত্ত বিলাস-মগ্ন রাজা মারিদত্তকে তঁাহার কুলপুরােহিত বলিলেন যে কুলদেবতা চণ্ডমারিদেবতার নিকট সর্বজাতীয় জীবের এক একটি মিথুন বলি দিতে হইবে, একটি নরমিথুনও বলি দিতে হইবে এবং রাজাকে স্বহস্তে বলিদান কর্ম করিতে হইবে। নরবলির জন্য একজন সন্ন্যাসী ও একজন সন্ন্যাসিনী আনীত হইল। তাহাদিগকে দেখিয়া মারিদত্ত ভাবিতে লাগিলেন, “আমার ভগিনীর যে যমজ সন্তান জৈন ধর্মে দীক্ষা লইয়া প্রব্রজ্যা গ্রহণ করিয়াছে, ইহ'রা কি তাহারাই?” জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া জানা গেল যে তাহাই সত্য। তখন ভাবান্তর-প্রাপ্ত মারিদত্ত ও তঁাহার কুলদেবতা সকলেই জৈন হইয়া পড়িলেন। প্রসঙ্গক্রমে ভারবি, ভবভূতি, ভর্তৃহরি, গুণাঢ্য, ব্যাস, ভাস, কালিদাস, বাণভট্ট প্রভৃতি বহু কবির নাম গ্রন্থমধ্যে স্থান পাইয়াছে। তাহারা সকলেই জৈনধর্মে অনুরাগ দেখাইয়াছেন। গ্রন্থখানি বাণভট্টের কাদম্বরীর আদর্শে রচিত।
* ধর্মচক্র লিখিত ‘মলয়সুন্দরী কথােদ্ধার’ ( ১৪ শতক) একখানি সংস্কৃত গদ্য-গ্রন্থ ; মধ্যে মধ্যে সংস্কৃত ও প্রাকৃত শ্লোক উদ্ধত রহিয়াছে।
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org