________________
( ২৭ ) আবার কোটি কোটি ( অর্থাৎ ১০০০০০০০০০০০০০০) সাগরােপম, কালে এক অবসপিণী যুগ ক্রান্তি। অবসর্পিণী যুগক্রান্তির। জি ২, ১৯, ১৪৭ ইত্যাদি।
ওসপ্পিণী [ <অবসপিণী ] ও উস্সপ্পিণী [ উৎসর্পিণী ] :
কালচক্র অবিরত আবর্তিত হইতেছে। এই চক্রস্থিত কোনও একটি বিন্দু একবার নীচের দিকে নামিতেছে, আবার উপরের দিকে উঠিতেছে। এ আবর্তন, এ ওঠা-নামার বিরাম নাই, বিশ্রাম নাই। একটি সাপ [ অশুভ নাগ ] এই চাকা নীচের দিকে ঘুরাইয়া নামাইয়া দিতেছে, আর একটি সাপ উপরের দিকে ইহার গতি ফিরাইয়া দিতেছে। তাহাতেই প্রলয়ের পর অভিনব সৃষ্টি সংঘটিত হইতেছে।
জৈন পুরাণে কাল সদা প্রবহমান, ইহার পরিমাপ নাই। জীবের পরিবর্তন আছে, জন্মান্তর আছে, কালের পরিবর্তন নাই, কাল সব পরিবর্তনের সাক্ষী। কিন্তু সময় ক্ষণিক। কালের ক্ষুদ্রতম বিভাগকে সময় বলে। চক্ষুর পলক ফেলিতে, পচা কাপড় ছিড়িতে, আঙ্গুল মটকাইয়া তুড়ি দিতে কিংবা পদ্মের পাপড়ি ছিড়িতে গণতাতীত সময় কাটিয়া যায়। অসংখ্য সময়ে এক আবলিকা হয়। ১৬৭৭৭২১৬ আবলিকায় এক মুহূর্ত [ = ৪৮ মিনিট ]। ত্রিশ মুহূর্তে এক অহােরাত্র অর্থাৎ একরাত্রি ও একদিন। তারপর পক্ষ, মাস, বৎসর হিন্দুদেরই অনুরূপ। প্রতি বৎসরে তিন ঋতু : গ্রীষ্ম, বর্ষা, হেমন্ত। চৈত্র, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়—এই চারি মাস গ্রীষ্ম ঋতু। শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন কার্তিক-বর্ষা। অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফান-হেমন্ত। গণনাতীত বৎসরে এক ' ‘পল্য। দশ কোটিকৈ দশ কোটি দিয়া গুণ করিলে যে সংখ্যা পাওয়া যায় সেই-সংখ্যক পল্য মিলিয়া এক সাগরােপম।
| ওসপ্পিণী [ অবসপিণী ] আবর্তনের ফলে ছয়টি যুগের প্রবর্তন হয় : [১] সুষম-সুষম [২] সুষম, [৩] সুষম-দুঃসম, [4] দুঃসম-সুষম, [৫] দুঃসম [খ] দুঃসম দুঃসম। ইহার পরে উসপ্পিণী [ উৎসর্পিণী ] আবর্তন। উৎসর্পিণ আবর্তনে [১] দুঃসম-দুঃসম, [২] দুঃসম, [৩] দুঃসম-সুষম,
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org