________________
সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করিতে পারেন। উপাধ্যায়েরা কেবল পাঠ করেন, কিন্তু আচার্যের ব্যাখ্যা করেন এবং সিদ্ধান্ত বিষয়ে শিষ্যের সকল সন্দেহ ভঞ্জন করেন। কোনও সাধু নিয়ম ভঙ্গ করিলে আচাৰ্য তাহার দণ্ডবিধান করিয়া থাকেন। নিজে সর্বপ্রকারে জৈন সাধুর পালনীয় বিধান সমূহ মানিয়া চলেন এবং সাধুগণের মধ্যে আদর্শ জীবন যাপন করেন। চরিত্র ও সাধনার উৎকর্ষ সম্পূর্ণতা লাভ করিলে আচার্যগণ কেবল জ্ঞান লাভ করিয়া তীর্থংকর বা অরিহন্ত হইতে পারেন। এই অবস্থায় উপনীত হইলে রােগ, শােক, দুঃখ, তাপ, জরা, মরণ, জন্ম কিছুই থাকে না। তীর্থংকরের অষ্ট সিদ্ধি লাভ করেন। ইন্দ্রাদি দেবগণ ইহাদিগের পূজা করেন এবং ভৃত্যবৎ ইহাদের ইচ্ছার অনুবর্তন করেন। বিমানবাসী দেবগণ ইহাদের বক্তৃতা শুনিবার জন্য আগ্রহান্বিত হইয়া মর্ত্যধামে আগমন করিয়া থাকেন। তীর্থংকরেরা মর্ত্যলােকেই সাধারণতঃ বাস করেন, কিন্তু সর্বত্র যাতায়াত করিতে পারেন। তপােবলে দেহ হইতে আত্মার বিয়ােগ ঘটিলেই তীর্থংকরগণ সিদ্ধ হন ও সিদ্ধলােকে গমন করেন। জৈনগণ সাধু, উপাধ্যায়, আচার্য, অরিহন্ত ও সিদ্ধ এই পাঁচ শ্রেণীর মহাপুরুষকে পঞ্চ পরমেশ্বর বলিয়া পূজা করেন। সকল শুভকর্মের আরম্ভকালে তাহারা পঞ্চ নমস্কার করিয়া থাকেন। সল্লেখনা বা সন্থার’ [ অর্থাৎ অনশনে মৃত্যু ] ব্ৰত গ্রহণ করিয়া ব্ৰতী সর্বদা পঞ্চ নমস্কার মন্ত্র মনে মনে উচ্চারণ করেন। প্রত্যেক জৈন মন্দিরে ‘সিদ্ধচক্র' নামে একটি ধাতুনির্মিত মঙ্গলচক্র থাকে, তাহাতে ‘পঞ্চপরমেশ্বর’ মৃতি খােদিত থাকে। যথারীতি এই সিদ্ধচক্রের বন্দনা ও পূজা করা হয়।
পঞ্চনমােক্কারে [ পঞ্চ নমস্কারঃ ] অহৎ, সিদ্ধ, আচাৰ্য, উপাধ্যায় ও সাধু এই পঞ্চ শ্রেণীর মহাপুরুষদিগকে নমস্কার ‘পঞ্চনমস্কার। এই পঞ্চ মহাপুরুষকে পঞ্চ মহেশ্বর বলা হয়। পঞ্চমহেশ্বর’ দ্রষ্টব্য। পঞ্চ নমস্কার না করিয়া কোনও শুভ কার্য আরম্ভ করা হয় না।
পড়িগএ [ প্রতিগতঃ ] প্রত্যাবর্তন করিল, ফিরিল। ২৮
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org