________________
জিনচরিত্র
১৪৯ একাদশ দিবসে জাতাশৌচান্ত বিধি অনুষ্ঠিত হইবার পর দ্বাদশ দিবস উপনীত হইলে প্রচুর অশনীয়, পানীয়, সুখাদ্য ও সুস্বাদ্য বস্তু প্রস্তুত করাইলেন। কইয়া মিত্র, জ্ঞাতি, কুটুম্ব, স্বজন, সম্বন্ধীজন, পরিজন ও নায়কগণকে নিমন্ত্রণ করিলেন। তার পরে স্নান করিয়া [ বাস্তুদেবতা দিগের ] বলিকর্ম সমাপ্ত করিয়া, কৌতুকমঙ্গল (অর্থাৎ তিলকাদি রচনা, ধান-দূর্ব-দধি-সর্ষপাদি স্পর্শ, ইত্যাদি) ও প্রায়শ্চিত্ত (অশুভ নিবারণার্থে পাদস্পর্শ প্রভৃতি) সারিয়া, মঙ্গলজনক শ্রেষ্ঠ বস্ত্র পরিধান করিয়া, অল্প অথচ মহার্ঘ অলঙ্কারে অলঙ্কত হইয়া ভােজনবেলা সমাগত হইলে ভােজন মণ্ডপে গিয়া ঐ সকল মিত্র, জ্ঞাতি, কুটুম্ব, সম্বন্ধীজন ও পরিজন গণকে লইয়া তাহাদের সঙ্গে সেই বিপুল অশনীয়, পানীয়, সুখাদ্য ও সুস্বাদ্য বস্তুরাশি আহার করিয়া স্বাদ-বিস্বাদ বুঝিয়া পরিভাজন (ভাগ করিয়া পরিবেশন) ও পরিভুঞ্জন (সকলের সঙ্গে ভােজন ) করিয়া বিহার করিলেন। আহারের পর আচমন ও দস্তাদি পরিষ্কার পূর্বক পুনরাচমনান্তে পরম শুচি হইয়া তাহারা (উপস্থানশালায়) সমবেত হইলেন। তারপর বিপুল পুষ্প, বস্ত্র, গন্ধমাল্য ও অলঙ্কারাদি দিয়া সেই সব মিত্র, জ্ঞাতি, কুটুম্ব, স্বজন, সম্বন্ধী, পরিজন ও ক্ষত্রিয়গণকে সৎকারিত ও সম্মানিত করিয়া তাহাদের নিকট এই কথা বলিলেন : “ভাে দেবাণুপ্রিয়গণ ! পূর্বে যখন আমাদের এই বালক গর্ভে ছিল তখনই আমাদের মনােমধ্যে এইরূপ ব্যাকুল প্রার্থনা সংকল্পিত হইয়াছিল। আমাদের এই বালক যখন ভূমিষ্ঠ হইবে তখন এইসব গুণের অনুরূপ গুণ-নিষ্পন্ন নাম রাখিব। সুতরাং আমাদের কুমার নামে হউক ‘পার্শ্ব।
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org