________________
জিনচরিত্র
২১৫ করেন ; এইরূপে বল, বাছন, কোষ, কোষ্ঠাগার, পুর, অন্তঃপুর ও জনপদ সমস্ত ত্যাগ করেন। ধন, কনক, রত্ন, মণি, মৌক্তিক, শঙ্খ, শিলা, প্রবাল, রক্তরত্ন প্রভৃতি সারদ্রব্য ত্যাগ করিয়া অবজ্ঞা করিয়া দাতৃগণের সাহায্যে বিলাইয়া দেন এবং দায়গ্রস্ত ( দরিদ্র ) দিগকে দান করিয়া বিলাইয়া দেন ৷
গ্রীষ্মের প্রথম মাসে প্রথম পক্ষে চৈত্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষে অষ্টমী তিথিতে দিবসের শেষ ভাগে সুদর্শনা নামক শিবিকায় আরোহণ করিয়া পথে পথে দেব, মনুষ্য ও অসুরগণ কর্তৃক দলে দলে অনুগম্যমান হইয়া রাজধানী বিনীতা নগরীর মধ্য দিয়া নির্গত হইয়া তিনি সিদ্ধার্থবন নামক উদ্যানে যেখানে সেই শ্রেষ্ঠ অশোক পাদপ ছিল সেইখানে উপস্থিত হইলেন। [ রাজধানীর পথে যাত্রাকালে ] শাঙ্খিক, চাক্রিক, মাঙ্গলিক, মুখমাঙ্গলিক, বর্ধমান ( স্কন্ধে নরবাহী নর ), পুষ্যমাণ ( ভাট ) ও ঘান্টিকগণ সেই ইষ্ট, কান্ত, প্রিয়, মনোজ্ঞ, মনোরম, উদার, কল্যাণকর, শুভ, ধন্য, মঙ্গলাকর, মিত-মধুর-শোভন, হৃদয়গ্রাহী, হৃদয়প্রহ্লাদন, অষ্টোত্তর শত অপুনরুক্ত বাক্যে অভিনন্দন করিতে করিতে ও স্তব করিতে করিতে এইরূপ বলিতে লাগিল ৷
জয় জয় হে নন্দক ! জয় জয় হে ভদ্রক ! তোমার ভদ্র হউক । অভগ্ন জ্ঞানদর্শন ও চরিত্রবলে অবিজিত ইন্দ্রিয়গুলি জয় কর, তোমার বিজিত শ্রামণ্য ধর্ম পালন কর! হে দেব! তুমি জিত-বিঘ্ন হইয়া সিদ্ধি মধ্যে বাস কর ৷ ধুতিরূপ ধটিকায় কাছা বাঁধিয়া তপদ্যা প্রভাবে রাগ ( আসক্তি )-দোষ রূপ মল্লকে নিধন কর ও উত্তম ও পবিত্র ধ্যানবলে অষ্ট কর্মশত্রু মর্দন কর। অপ্রমত্ত ভাবে আরাধনা পতাকা বহন কর। হে বীর! এই ত্রৈলোক্য-রঙ্গ [ -মঞ্চ ]-মধ্যে অনাচ্ছন্ন অনুত্তর ‘কেৰল' নামক জ্ঞানদর্শন লাভ কর ও পরম পদ মোক্ষ প্রাপ্ত হও। শ্রেষ্ঠ জিনগণ কর্তৃক উপদিষ্ট অকুটিল মার্গে গমন কর তুমি পরীষহ ( উৎপাত )-চমূ বিনাশ করিয়াছ জয় জয় হে ক্ষত্রিয়বর-বৃষভ ! বহু দিবস, বহু পক্ষ, বহু মাস, বহু ঋতু, বহু অয়ন, বহু সংবৎসর ধরিয়া নির্ভয় থাক ; পরীষহ ও উপসর্গসমূহকে ভয় করিও
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org