________________
জিনচরিত্র
১৬১ গায়ে দেহের যত্ন ত্যাগ করিয়া স্বদেহ উৎসর্গ করিয়াছিলেন। [ বিষ্ঠাচন্দনে সমান জ্ঞান, তৃণ-মণি-লেষ্ট-কাঞ্চনে সমান, দুঃখ-সুখে উদাসীন, ইহলােক-পরলােকে অপ্রতিবদ্ধ, জীবন-মরণে আকাঙ্ক্ষাবিহীন, সংসারপারগামী, কর্ম-সঙ্গ বিনাশের জন্য অত্যুখিত—এই ভাবে বিহার করিতে লাগিলেন। সেই ভগবান্ অরিষ্টনেমির ] পঞ্চান্ন দিনের দিনে বর্ষার তৃতীয় মাসে পঞ্চম পক্ষে আশ্বিনের কৃষ্ণ পক্ষে পঞ্চদশী ( অমাবস্যা) তিথিতে দিবসের শেষ ভাগে উজ্জিন্ত শৈল শিখরে বেতস | পাঠান্তরে বট ] পাদপমূলে প্রতি চতুর্থ দিবসে একবারমাত্র পানীয়বিহীন আহার গ্রহণের ব্রত লইয়া চিত্রা নক্ষত্রের [ সহিত চন্দ্রের ] যোগে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় অনন্ত, অনুত্তর, নির্বাঘাত, নিরাবরণ, কৃৎ, প্রতিপূর্ণ কেবল’ নামক জ্ঞানদর্শন সমুৎপন্ন হয়।
[ তখন অহৎ অরিষ্টনেমি অহৎ হইলেন, জিন হইলেন, কেবলী হইলেন, সর্বজ্ঞ হইলেন, সর্বদর্শী হইলেন। তখন তিনি দেব, মনুষ্য ও অসুরগণ সহ সব লােকের পর্যায় জানিতে পারেন ও দেখিতে পান। সর্বলােকে সর্বজীবের পর্যায় জানেন। কে কোথা হইতে আসিতেছে, কোথায় যাইতেছে, কোথায় আছে, কোন জন্মে ( মনুষ, পশু বা অন্য কোনও মতজীব অথবা দেবতা, অসুর বা তির্যগ যােনিতে) কে কি করিতেছে, কোথায় কাহার উপপাত হইতেছে, কে কি তর্ক করিতেছে, কে কি মনে ভাবিতেছে, কে কি মানসিক (ইচ্ছা) করিতেছে, কে কি খাইয়াছে বা খাইতেছে, কে কি করিয়াছে কা করিতেছে, কি কাহার ইচ্ছা, প্রকাশ্য কর্ম, গােপন কর্ম সমস্তই তিনি জানিতে পারেন ও দেখিতে পান। অহঁতের নিকট কোনও রহস্য (গােপন) থাকে না। তাই সেই-সেই কাল, মন, বচন ও কায় যােগে তিনি বর্তমানবৎ দেখিতে পান।] সর্বলােকে সর্বজীবের সর্বভাব জানিয়া ও দেখিয়া তিনি বিহার করেন। ১৭৪।
অহৎ অরিষ্টনেমির আঠারাে গণ ও আঠারো গণধর ছিল। ১৭৫।
.
Q. P. 93–21
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org