________________
৪১
জিনচরিত্র ঈহামৃগ (বৃক), বৃষভ, তুরঙ্গ, মনুষ্য, মকর, বিহঙ্গ, ব্যাল, কিন্নর, রুরু, শরভ, চমর, সংসক্তক-নামক শ্বাপদবিশেষ, কুঞ্জর, বনলতা ও পদ্মলতার চিত্রে তাহা সুশােভিত। গন্ধর্বেরা সঙ্গীত-রত থাকায় সেখানে সর্বদা গীতধ্বনি শুনা যায়। সজল ও ঘন প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড মেঘের গর্জনে নিত্য সে স্থান অনাদিত। দেবতাদিগের দুন্দুভির মহারবে সমস্ত জীবলােক শব্দে পূর্ণ হয়। শ্রেষ্ঠ কালাগুরু এবং কুরুক ও তুরুক নামক গন্ধদ্রব্য ও ধূপ দগ্ধ হওয়ায় সর্বদা উত্তম সুগন্ধ উগত হইতেছে এবং সেই সকল দহমান দ্রব্যের উত্তম গন্ধে সর্বত্র মহ-মহ করিয়া উঠিতেছে । ৪৪।
১৩। তারপর ত্রিশলা মেরুগিরিতুল্য তুঙ্গ রাশি রাশি রত্নস্তুপ দেখিলেন। তাহাতে ছিল পুলক, বজ, ইন্দ্রনীল, শস্যক, ককেতন, লােহিতাক্ষ, মরকত, প্রবাল, সৌগন্ধিক, স্ফটিক, হংসগর্ভ, অঞ্জন, চন্দ্রকান্ত প্রভৃতি বহু শ্রেষ্ঠ রত্ন। ভূতলে প্রতিষ্ঠিত হইলেও সেই রত্নস্তপের প্রভায় গগনমণ্ডলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত আলােকিত করিতেছিল ॥ ৪৫।
১৪। তারপর তিনি অতি-বেগে-চঞ্চল-শিখা-সম্পন্ন অগ্নি সন্দর্শন করিলেন। সে অগ্নি অত্যুজ্জ্বল ও মধুবং পিঙ্গল ঘৃত সেচনে নিধূম, ধ ধক্ করিয়া জ্বলন্ত জ্বালাতে উজ্জ্বল ও অভিরামদর্শন। তাহার পরস্পর-সংযুক্ত শিখাগুলি পরস্পর অঙ্গাঙ্গিভাবে অনুপ্রবিষ্ট ও স্তুপীকৃত হইয়া কোনও কোনও স্থানে আকাশ পর্যন্ত উজ্জ্বল করিয়া জ্বলিতেছিল ॥ ৪৬ ॥
এইরূপ শুভ, সৌম্য, প্রিয়দর্শন, সুরূপ স্বপ্নগুলি দেখিয়া শয্যামধ্যে জাগরিত হইয়া অরবিন্দলোচনা হর্ষপুলকিতাঙ্গী হইলেন।
যে রাত্রে কোনও মহাযশা অহৎ কুক্ষিমধ্যে প্রবেশ করেন সেইরাত্রে তীর্থকরের মাতারা সকলেই এই চতুর্দশ স্বপ্ন দর্শন করেন। ৪৬খ ।
তারপর সেই ত্রিশলা ক্ষত্রিয়াণী এইরূপ চতুর্দশ উদার মহাস্বপ্ন দেখিয়া জাগরিত হইয়া হৃষ্টচিত্তা আনন্দিত। প্রীতিযুক্তা পরম সৌমনস্যসম্পন্ন। হর্ষবশে প্রসারিতহৃদয় [ বৃষ্টি- ] ধারাহত-কদম্ববৎ উচ্ছসিত-লােমকূপ হইয়া স্বপ্নগুলি অবধারণ করিলেন। তারপর শয্যা হইতে উঠিলেন।
0. P. 93–6।
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org