________________
জিনচরিত্র
| ১১৯ হিতকর পরম সুখকর ও নিঃশ্রেয়স-কর হইবে। এই বলিয়া [ তাহারা ] জয় জয় ধ্বনি করিতে লাগিলেন ৷ ১৫৬ ।
| জনাদৃত অহৎ পার্শ্ব মনুষ্য-ধর্ম-সুলভ গাহস্থ গ্রহণ (অর্থাৎ বিবাহ) করিবার পূর্বেও তাহার অনুত্তর অপ্রতিপাতী আভােগিক জ্ঞানদর্শন ছিল। সেইজন্য জনাদৃত অহৎ পার্শ্ব সেই অনুত্তর আভােগিক জ্ঞানদর্শনবলে আপন নিষ্ক্রমণকাল (প্রব্রজ্যা গ্রহণের কাল) দেখিতে পাইয়াছিলেন। দেখিতে পাইয়া তিনি তাহার সমস্ত হিরণ্য ত্যাগ করিয়া ছিলেন, সুবর্ণ ত্যাগ করিয়াছিলেন, ধন ত্যাগ করিয়াছিলেন, ধান্য ত্যাগ করিয়াছিলেন, রাজ্য ত্যাগ করিয়াছিলেন, রাষ্ট্র ত্যাগ করিয়াছিলেন, এবং বল, বাহন, কোষ, কোষাগার, পুর, অন্তঃপুর ও জনপদ ত্যাগ করিয়াছিলেন। তারপর কনক, রত্ন, মণি, মৌক্তিক, শঙ্খ, শিলা, প্রবাল, রক্তরত্ন ইত্যাদি সমস্ত সারভূত সম্পদ ত্যাগ করিয়া, অবজ্ঞা করিয়া দাতৃগণের সাহায্যে বিলাইয়া দিয়াছিলেন এবং দায়গ্রস্ত ( দরিদ্র) গণকে দান করিয়া বিলাইয়াছিলেন। তারপর হেমন্তের দ্বিতীয় মাসে তৃতীয় পক্ষে পৌষের কৃষ্ণ পক্ষে একাদশী তিথিতে পূর্বাহ সময়ে ‘বিশালা’ নামক শিবিকায় দেব-মনুষ্য ও অসুরগণের দ্বারা দলে দলে অনুগম্যমান হইয়া বারাণসী নগরীর মধ্য দিয়া নিষ্ক্রান্ত হইয়া যাইতে লাগিলেন। শাকি , চাক্রিক, মাঙ্গলিক, মুখমাঙ্গলিক, বধমান (স্কন্ধে নর-বাহী মানুষ ), পৃষমাণ (ভাট) এবং ঘান্টিক ( ঘণ্টাবাদক) গণ চলিতেছিল। চলিতে চলিতে তাহারা সেই ইষ্ট, কান্ত, প্রিয়, মনােজ্ঞ, মনােরম, উদার, কল্যাণকর, শুভ, বন্য, মঙ্গলাকর, মিত-মধুর-শােভন, হৃদয়-প্রহলাদন, একশাে আট পুনরুক্তিদোষহীন বাক্যে অভিনন্দন করিতে করিতে ও স্তব করিতে করিতে এই কথা বলিল।
জয় জয় হে নন্দক! জয় জয় হে ভদ্ৰক ! তােমার ভদ্র হউক। অভগ্ন জ্ঞানদর্শন ও চরিত্র দ্বারা তােমার অবিজিত ইন্দ্রিয়গুলি জয় কর। তােমার সম্যগ বিজিত শ্ৰমণ-ধর্ম পালন কর। হে দেব! বিঘ্নসমূহ জয় করিয়া সিদ্ধিমধ্যে কাল কাটাও। তপস্যা প্রভাবে রাগদোষ
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org