________________
জিনচয়িত্র
সিদ্ধার্থ রাজা দশ-দিন-ব্যাপী ‘স্থিতি প্রতীজ্যা' উৎসব কালে শত, সহস্র ও লক্ষ যাগ, শত, সহস্র ও লক্ষ দান এবং শত, সহস্র ও লক্ষ সম্পত্তির ভাগ দান করিয়াছিলেন এবং দান করিবার আদেশ দিয়াছিলেন ; [ এই উপলক্ষে] তিনি শত, সহস্র ও লক্ষ উপহার (লাভ ) বরণ করিয়া লইয়াছিলেন এবং বরণ করিয়া লইবার আদেশ দিয়াছিলেন ॥ ১৩ ॥
তারপর শ্রমণ ভগবান্ মহাবীরের মাতাপিতা প্রথম দিবসে স্থিতিপ্রতীজ্যা উৎসৰ সম্পাদন করেন, তৃতীয় দিবসে চন্দ্র-সূর্য-প্রদর্শন কর্ম করেন ও ষষ্ঠ দিবসে ধর্মজাগর্যা বিধি পালন করেন। একাদশ দিবসে জাতাশৌচাত্ত্ববিধি অনুষ্ঠিত হইবার পর দ্বাদশ দিবস উপনীত হইলে প্রচুর অশনীয়, পানীয়, সুখাদ্য ও সুস্বাদ্য বস্তু প্রস্তুত করাইলেন। করাইয়া মিত্র, জ্ঞাতি, কুটুম্ব, স্বজন, সংবন্ধীজন, পরিজন ও নায়কগণকে নিমন্ত্রণ করিলেন। তারপর স্নান করিয়া, [ বাস্তুদেবতাদিগের ] বলি কৰ্ম সমাপ্ত করিয়া, কৌতুকমঙ্গল (অর্থাৎ তিলকাদি রচনা, ধান-দূর্বা-দধিসর্ষপাদি স্পর্শ, ইত্যাদি ) ও প্রায়শ্চিত্ত ( অশুভ নিবারণার্থ পাদস্পর্শ প্রভৃতি ) সারিয়া, ( শুদ্ধিবিধায়ক ) শুভজনক, শ্রেষ্ঠ বস্ত্র পরিধান করিয়া, অল্প অথচ মহার্ঘ অলঙ্কারে অলঙ্কৃত হইয়া, ভোজন-বেলা সমাগত হইলে ভোজন-মণ্ডপে গিয়া শ্রেষ্ঠ সুখাসনে বসিয়া ঐ সকল মিত্র, জ্ঞাতি, কুটুম্ব, সংবন্ধীজন ( অর্থাৎ শ্বশুর, বৈবাহিক প্রভৃতি ), পরিজন ও নায়কগণকে লইয়া তাঁহাদের সঙ্গে সেই বিপুল অশনীয়, পানীয়, সুখাদ্য ও সু-স্বাস্থ্য বস্তু-রাশি আহার করিয়া, স্বাদ-বিস্বাদ বুঝিয়া, পরিভাজন ( ভাগ করিয়া পরিবেশন) ও পরিভুঞ্জন ( সকলের সঙ্গে ভোজন ) করিয়া বিহার করিলেন ৷ ১০৪ ॥
আহারের পর আচমন ও দস্তাদি পরিষ্কার পূর্বক পুনরাচমনাস্তে পরম শুচি হইয়! তাঁহারা ( উপস্থানশালায় ) সমবেত হইলেন। তারপর বিপুল পুষ্প, বস্ত্র, গন্ধমাল্য ও অলঙ্কারাদি দিয়া সেই সব মিত্র, জ্ঞাতি,
Jain Education International
৮৩
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org