________________
জিনচরিত্র
সুগন্ধি পুষ্পদ্বারা সাজাইল ; কালাগুরু, কুন্দুরুক, তুরুক প্রভৃতি গন্ধদ্রব্য জ্বালাইয়া ধূপগন্ধি ধূমাদি দ্বারা সুগন্ধে ঘর মহ-মহ করিয়া তুলিল ; সুগন্ধ পুষ্পনির্যাস ছড়াইয়া ঘর সুবাসিত করিল ; সমস্ত ঘরটিকে যেন একটি গন্ধবর্তিকার মত করিয়া তুলিল। এই সব কর্ম সমাপ্ত হইলে ঐ ঘরে সিংহাসন রচনা করিল। তারপর যেখানে সিদ্ধার্থ ক্ষত্রিয় ছিলেন সেইখানে উপস্থিত হইল । উপস্থিত হইয়া করতলে বদ্ধ অঞ্জলির দশ নখ মাথায় ঠেকাইয়া সিদ্ধার্থ ক্ষত্রিয়ের নিকট তাঁহার আদেশ প্রতিপালন সংবাদ জ্ঞাপন করিল ॥ ৫৮ ॥
1
পরদিন রজনী প্রভাত হইলে অর্ধোজ্জ্বল প্রভা-তে কোমল কমল ও উৎপল প্রস্ফুটিত হইলে, রক্তাশোকতুল্য, কিংশুকতুল্য, শুকমুখতুল্য এবং গুঞ্জার্ধ (কুঁচফলের কৃষ্ণাংশ বর্জিত অপরাংশ ) তুল্য রক্তবর্ণ, [ পারাবতের চরণ ও নয়নতুল্য, পরভৃতের ( কোকিলের ) সুরক্ত লোচনতুল্য, জবাকুসুমরাশিবৎ এবং হিঙ্গুলপুঞ্জ অপেক্ষা অধিক রক্তবর্ণে শোভমান, ] কমলসমূহের বোধনকারী, নিজের তেজে জ্বলন্ত সহস্ররশ্মি সূর্যদেব উদিত হইলে, [ যথাক্রমে অর্থাৎ যথাসময়ে দিবাকর উদিত হইলে, তাহারই কর প্রহারে অন্ধকার দণ্ডিত হইলে ও তরুণ রৌদ্রের কুংকুয়ে জীবলোক খচিতবৎ হইলে ] সিদ্ধার্থ ক্ষত্রিয় শয্যা হইতে উঠিলেন ॥ ৫৯ ৷৷
উঠিয়া তিনি পাদপীঠ হইতে অবরোহণ করিলেন । তারপর অট্টনশালায় ( অর্থাৎ ব্যায়ামাগারে) প্রবেশ করিলেন। অউনশালায় প্রবেশ করিয়া অনেক প্রকার ব্যায়ামযোগ্য লম্ফন, ব্যামদন ( পেশীসঞ্চালনাদি ) ও মল্লযুদ্ধ করার পর শ্রান্ত ও পরিশ্রান্ত হইলে প্রীতিকর, দীপক, মদনবর্ধক, বৃংহণ, বলকর, সর্বেন্দ্রিয় ও সর্বগাত্রের প্রহ্লাদনকর এবং অভ্যঞ্জন শতপাক ও সহস্রপাক বহুবিধ সুগন্ধ তৈলাদি দ্বারা নিপুণ, শিক্ষিত, সুদক্ষ, প্রধান, [ স্বব্যবসায়ে ] কুশল, মেধাবী ও পরিশ্রমে অকাতর সেবকগণ তাঁহার অঙ্গসংবাহন করিতে লাগিল ৷ ঐ সেবকগণের করতল ও পদতল সুকুমার ও কোমল এবং উহারা সম্পুর্ণাঙ্গ দেহবিশিষ্ট। তাহারা অভ্যঙ্গন কর্মে, পরিমর্দন কর্মে ও উদ্বলন
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
৫ ১
2
www.jainelibrary.org