________________
( 65 )
সমারোহের সহিত অনুষ্ঠিত হইত। আনন্দপুরের রাজা ধ্রুবসেনের রাজসভায়, তাঁহার প্রিয়পুত্র সেনাঙ্গজের মৃত্যুতে তাঁহাকে সান্ত্বনা দিবার উদ্দেশ্যে, এই উৎসব অনুষ্ঠিত হইয়াছিল। কিন্তু ‘সামাচারী গ্রন্থখানিই ‘পর্যুৰ্ষণাকল্প' নামে পরিচিত ; মঙ্গলের জন্য 'জিনচরিত্র' ও ‘স্থবিরাবলী' প্রথম দিবসে ‘সামাচারী' গ্রন্থের সহিত পঠিত হইত। মহাবীর স্বামী স্বয়ং এই পর্যুষণাকল্প ব্যাখ্যাদি সহকারে বাচন করিয়াছিলেন। [ সামাচারী ৬৪ সূত্র দ্রষ্টব্য। ] “পর্যষণা কল্পনিযুক্তি' নামক একখানি গ্রন্থে লিখিত আছে :
পুরিম-চরিমাণ কপ পো উ মংগলং বদ্ধমাণ-তিখম্মি ৷
তো পরিকহিয়া জিণ-পরিকহায় থেরাবলী চেখ ৷ ৬১ ৷৷
বর্দ্ধমান স্বামীর তীর্থ-কালে প্রথম ও চরম জিনের [ মহাবীর স্বামী ও ঋষভ স্বামীর ] কথা ও থেরাবলী পাঠ করিবার প্রথা প্রচলিত হইয়াছে। সা ১
পংচংগুলি [ পঞ্চাঙ্গুলি ] পাঁচ আঙুলের ছাপ । “ গোসীস-সরস রত্তচংদণ-দদ্দর-দিন্ন-পংচংগুলি-তলং”—গোশীর্ষ, সরস রক্তচন্দন ও দর্দর মিশাইয়া বাঁটিয়া তাহা লইয়া দেওয়ালে পাঁচ আঙুলের ছাপ দেওয়ার রীতি ছিল। ইহাতে সভাস্থল সুগন্ধিত হইত। দর্দর দেশ হইতে আনীত সুগন্ধ দ্রব্য ‘দর্পর' । দর্দর দেশ আধুনিক আফগানিস্তান ।
পঞ্চ নমস্কার : পঞ্চ পরমেশ্বর : কর্মক্ষয় করিয়া সিদ্ধি লাভ করিবার জন্য জীবকে পাঁচটি শ্রেষ্ঠ সাধন-পর্যায় অতিক্রম করিতে হয়। সেই সাধনার সর্বপ্রথম পর্যায়ে মানব শিরোমুণ্ডন পূর্বক অনাগারিত্ব গ্রহণ করে। সংসার-ত্যাগী ধ্যানে মগ্ন একাহারী বনবাসী ভিক্ষু সন্ন্যাসীকে সাধু বলে। শিক্ষা, জ্ঞান ও চরিত্রোন্নতি হইলে সাধুরা উপাধ্যায় হইতে পারেন । উপাধ্যায়েরা অঙ্গ, উপাঙ্গ প্রভৃতি সিদ্ধান্ত গ্রন্থগুলি পাঠ করিয়া অন্য সাধুগণকে শুনাইয়া থাকেন। উত্তরাধ্যয়ন, উপাসকদশা, ভগবতী প্রভৃতি প্রধান প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রন্থগুলি ইহারা আয়ত্ত রাখেন। উপাধ্যায়গণের উন্নতি হইলে তাঁহারা আচার্য পদ লাভ করেন। আচার্যেরা সর্ব
O. P. 93-9
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
.
www.jainelibrary.org