________________
( ২৮ )
[৪] সুষম-দুঃসম, [*] সুষম ও [৬] সুষম-সুষম যুগ আসিবে। আমরা অবসর্পিণী আবর্তনের দুঃসম যুগে বাস করিতেছি।
সুষম-সুষম যুগ সর্বাপেক্ষা সুখের যুগ। এই যুগের পরিমাণ চারি কোটি-কোটি সাগরােপম। মানুষের উচ্চতা ক্রোশয়। পঞ্জরে অস্থি সংখ্যা ২৫৬। যে-সকল সন্তান প্রসূত হইত, তাহারা সকলেই যমজ, বালক-বালিকা। কল্পবৃক্ষ হইতে তাহাদের অভাবমােন হইত। তাহারা কোনও বৃক্ষ হইতে সুমিষ্ট ফল পাইত। কোনও বৃক্ষ হইতে বাসন-কোষণ পাইত। কোনও বৃক্ষের পাতায় সুললিত সঙ্গীত উৎপন্ন হইত। কোনও বৃক্ষ হইতে রাত্রিকালে উজ্জ্বল আলােক নির্গত হইত। গন্ধ দ্রব্য, অলঙ্কার, প্রাসাদ, বস্ত্র প্রভৃতি সর্ববিধ ভােগ্যবস্তুই কল্পবৃক্ষে পাওয়া যাইত । বহু জৈন মন্দিরে এই যুগের যমজ সন্তানাদির প্রতিমূর্তি ক্ষোদিত দেখা যায়। সন্তানেরা ৪৯ দিনের হইলেই মাতাপিতার পরলােক প্রাপ্তি হইত। কিন্তু তাহাতে সন্তানের কোনও ক্ষতি হইত
, কারণ জন্ম হইতে ৪ দিন বয়স হইলেই তাহার এক-এক টি শস্য পরিমিত খাদ্য খাইতে পারিত। তাহাদের খাদ্যের এই পরিমাণ যাবজ্জীবন থাকিত। প্রতি চতুর্থ দিনে তাহারা আহার করিত। রান্না করিত না, রান্না করা খাদ্য খাইত না; ফলে জীবহত্যা হইত না। জীবনান্তে সােজাসুজি দেবলােকে চলিয়া যাইত। ধর্ম বা পাপপুণ্যের চিন্তা তাহাদের ছিল না, কারণ পাপ ছিল না। | সুষম যুগে সুখের পরিমাণ কিছু কমিয়া গেল। মানুষের উচ্চতা ক্রোশদ্বয়। পঞ্জরে অস্থিসংখ্যা ১২৮। কল্পবৃক্ষগুলি পূর্ববৎ অভীষ্ট দান করে। সন্তানের বয়স ৬৪ দিবস হইলে মাতাপিতার পরলােক প্রাপ্তি ঘটে। জন্মের তিন দিন পর হইতে বদরী প্রমাণ খাদ্য প্রতি তৃতীয় দিবসে আবশ্যক। আয়ু ২ পল্য। জীবনান্তে দেবলােক। | সুষম-দুঃসম যুগে সুখের সঙ্গে দুঃখের আবির্ভাব হয়। মানবদেহ ক্রোশ-পরিমাণ উচ্চ। পঞ্জরে অস্থিসংখ্যা ৬৪। আয়ু ১ পল্য। জীবনান্তে দেবলােক প্রাপ্তি এখনও পূর্ববৎ। আদি তীৰ্থকর ঋষভদেব আবিভূত হইয়া রান্না, সূচিকর্ম প্রভৃতি ৩২ প্রকার কলাবিদ্যার শিক্ষা
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org