________________
৯/০
জৈনদিগের মতে, সর্বজ্ঞত্বলাভের পাঁচটি ক্রম : মতি-জ্ঞান, শ্রুত-জ্ঞান, অবধি-জ্ঞান, মনঃপর্যায় জ্ঞান, ও কেবল জ্ঞান বা সর্বজ্ঞত্ব। মহাবীর স্বামী প্রথম তিনটি জ্ঞানের অধিকারী হইয়াই জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। অনাগারিত্ব গ্রহণের সঙ্গে-সঙ্গেই তাঁহার মনঃপর্যায় জ্ঞান জন্মে। তারপর ত্রয়োদশ বর্ষব্যাপী কঠোর সাধনার দ্বারা তিনি কেবল জ্ঞান বা সর্বজ্ঞত্বলাভে সমর্থ হইয়াছিলেন। কেবল জ্ঞান লাভ করিবার সঙ্গে-সঙ্গেই জীব সিদ্ধিলাভ করিয়া থাকে ৷
"
তপস্যা বা সাধনা
সন্ন্যাস-গ্রহণ-কালে মহাবীর স্বামী যে বস্ত্রখানি পরিয়া ছিলেন, সেইখানি পরিয়াই তিনি এক বৎসর একমাস কাটাইয়া দিয়াছিলেন। তারপর তিনি সম্পূর্ণ নগ্ন দেহে বিচরণ করিতেন এবং কোনও ভিক্ষাপাত্র না লইয়া করতলে ভিক্ষা গ্রহণ করিতেন। বর্ষার চারিমাস তিনি একস্থানে অবস্থান করিতেন । কিন্তু শীত ও গ্রীষ্মের আট মাস তিনি দেশে দেশে ভ্রমণ করিয়া বেড়াইতেন ৷ গ্রামে এক রাত্রি ও নগরে পাঁচ রাত্রির বেশি কোথাও থাকিতেন না । সর্বপ্রকার দুঃখ কষ্ট ও যন্ত্রণা অম্লান বদনে সহ্য করিতেন। পুরীষে ও চন্দনে, তৃণ ও রত্নে, ধুলি ও কাঞ্চনে, সুখ ও দুঃখে তিনি ছিলেন উদাসীন। ইহলোক ও পরলোকে তিনি ছিলেন অনাসক্ত। জীবন বা মৃত্যু কিছুই তিনি কামনা করিতেন না। কেবল, কিসে তাঁহার কর্মক্ষয় হইবে সেই চেষ্টাতেই তিনি কৃচ্ছ সাধ্য কর্ম করিতেন । এইরূপে সত্য-, সংযম-, তপস্যা-, ও চারিত্র্য-সহকারে নির্লিপ্তভাবে ধ্যানমগ্ন থাকিয়া তিনি পূর্ণ দ্বাদশ বৎসর যাপন করেন ৷ তারপর
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org