________________
211/0
মহাবীর স্বামী অতীব দুঃখিত হইলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ চিন্তা করিয়া তিনি সেই ইন্দ্র-প্রদত্ত স্বর্গীয় বস্ত্রখানির অর্ধাংশ সোমদত্তকে প্রদান করিলেন । হর্ষোৎফুল্ল সোমদত্ত গ্রামে ফিরিলে তাঁহার তন্তুবায় বন্ধু তাঁহাকে অপরার্ধ সংগ্রহ করিয়া আনিতে বলিল ৷ কিন্তু লজ্জিত সোমদত্ত মহাবীরের কাছে আসিয়াও তাঁহার নিকট উহা চাহিতে পারিলেন না ৷ তখন মহাবীর স্বামীর বস্ত্রখানি কাঁটাগাছের উপর পড়িয়া ছিল, এবং নগ্ন মহাবীর স্বামী ধ্যানমগ্ন ও বাহ্য-জ্ঞানশূন্য ছিলেন । কণ্টকমুক্ত করিয়া সোমদত্ত বস্ত্রখানি লইয়া আসিলেন ; মহাবীর স্বামী জানিতেও পারিলেন না ৷
;
মহাবীর স্বামীর বাহ্য-জ্ঞানশূন্য ধ্যানের বিষয়ে আর একটি গল্প আছে। কুমারগ্রাম নামক গ্রামের বাহিরে পথের ধারে এককালে মহাবীর স্বামী নিশ্চল অবস্থায় নিমীলিত নেত্রে পদ্মাসনে ধ্যানমগ্ন ছিলেন । একজন কৃষক তাহার বলদ দুইটি সেইখানে ছাড়িয়া দিয়া মহাবীর স্বামীকে দেখিতে বলিয়া ক্ষেতে চলিয়া যায়। ফিরিয়া আসিয়া বলদ দুইটিকে না পাইয়া এবং মহাবীর স্বামীর কোনও সাড়া-শব্দ না পাইয়া সে সমস্ত রাত্রি সারা গ্রামে খুঁজিয়া বেড়ায়। বলদ দুইটি কিন্তু ইতিমধ্যে ঘাস ও জল খাইয়া ফিরিয়া আসিয়া মহাবীর স্বামীর নিকটে শুইয়া ছিল । প্রাতঃকালে ঐ কৃষক মহাবীর স্বামীর নিকটে বলদ দুইটিকে দেখিয়া তাঁহাকে চোর মনে করিয়া প্রহার করিতে থাকে । এমন সময়ে দেবরাজ ইন্দ্র আসিয়া কৃষকের প্রহার হইতে মহাবীর স্বামীকে রক্ষা করেন ।
ধর্মপ্রচার ও নির্বাণ
কেবল জ্ঞান বা সিদ্ধিলাভের পর মহাবীর স্বামী প্রচার
O. P. 93-2)
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org