________________
৯০
ত্রয়ােদশ বর্ষে [ প্রীস্টপূর্ব ৫৫৭ অব্দে ] বৈশাখ মাসের শুক্লা দশমী তিথিতে বিজয় মুহূর্তে উত্তরফনী নক্ষত্রে ঋজুপালিকা নদীর তীরে জ্বস্তিকা গ্রামে সামাগ নামক কোনও গৃহস্থের ক্ষেত্ৰমধ্যে শালবৃক্ষতলে মহাবীর স্বামী অনন্ত, অনুত্তর, নিরাবরণ, সম্পূর্ণ, সমগ্র কেবল জ্ঞান লাভ করেন। এই কাল হইতেই তিনি কেবলী বা অহৎ নামে প্রসিদ্ধ হন।
| দিগম্বরেরা মহাবীরের কঠোরতর সাধনার বর্ণনা করেন। তাঁহারা বলেন, তিনি ছয় মাস অচল অবস্থায় ধ্যানমগ্ন থাকিয়াও মনঃপর্যায় জ্ঞান অর্জন করিতে পারেন নাই। তারপর কুলপুর নামক নগরে কুলাধিপ নামক নৃপতির আহ্বানে ছয় মাস উপবাসের পর দুগ্ধ ও অম্নে পারণ করিয়াছিলেন। পিরণান্তে তিনি দ্বাদশ বর্ষ যাবৎ অরণ্যে অরণ্যে তপস্যা করিয়া পরিভ্রমণ করিয়াছিলেন; কিন্তু তথাপি তাহার মনঃপর্যায় জ্ঞান লাভ হয় নাই। অবশেষে উজ্জয়িনী নগরের শ্মশানে যখন তিনি তপস্যারত ছিলেন তখন রুদ্র ও রুদ্রাণী আসিয়া নানা উপায়ে তাহার তপােভঙ্গের চেষ্টা করেন। কিন্তু সমস্ত ব্যাঘাত অতিক্রম করিয়া, সমস্ত প্রলােভন জয় করিয়া তিনি অবশেষে মনঃপর্যায় জ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন। | সর্বস্ব ত্যাগ করিয়া, সমস্ত ধন বিলাইয়া দিয়া রিক্ত ও নগ্ন মহাবীর যখন ধ্যানে মগ্ন ছিলেন তখন তাহার অজ্ঞাতসারে দেবরাজ ইন্দ্র তাহাকে একখানি দিব্য বস্ত্র পরাইয়া দিয়া গিয়াছিলেন। এই বিষয়ে একটি গল্প আছে। মহাবীর স্বামীর সংসার-ত্যাগকালীন দানে বঞ্চিত সােমদত্ত নামক একজন ব্রাহ্মণ বনে আসিয়া মহাবীর স্বামীর নিকট কিছু ভিক্ষা প্রার্থনা করিলেন। কিন্তু তখন দিবার মতাে কিছুই নাই ভাবিয়া
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org