________________
৯৭০
মতবাদীর বিভিন্নরূপ বিচার শুনিবার আকাঙ্ক্ষাই এ অনুরাগের মূল। বিনয় ও সচ্চরিত্রতা গুণে বুদ্ধদেব ও মহাবীর স্বামী উভয়েই শ্রেণিকের বশীভূত ছিলেন। জৈনমতে মহাবীর স্বামী রাজর্ষি শ্রেণিককে তত্ত্বকথা শুনাইতে এত ভালবাসিতেন যে তাঁহাকে পদ্মচরিত ও মহাপুরাণ শুনাইবার জন্য অন্তরঙ্গ শিষ্য গৌতমকে নির্দেশ দিয়া ছিলেন। একান্ত, জিজ্ঞাসু চিত্তে রাজর্ষি শ্রেণিক গৌতমের উপদেশ বাণী শ্রবণ করিয়াছিলেন। আবার শ্রেণিক-বিম্বিসারের পুত্র কূনিক-অজাতশত্রু কেবল যে পিতৃবিরোধী ও পিতৃহন্তাই ছিলেন, তাহা নহে ; তিনি সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্রের লোক ছিলেন । পিতা ছিলেন কোমল-হৃদয়, পুত্র ছিলেন কঠোর-চিত্ত। পিতা ছিলেন ধর্মজিজ্ঞাসু, পুত্র ছিলেন রাজ্যলোলুপ। পিতা ছিলেন সরল, পুত্র ছিলেন কুটিল। তাই অজাতশত্রু কোনও ধর্মমতের অনুবর্তন করিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয় না । পিতৃহত্যারূপ মহাপাপ করিয়া যখন তিনি সিংহাসন লাভ করিলেন, তখনই রাজনৈতিক কারণে আত্মীয়-স্বজনের সহানুভূতি তাঁহার একান্ত আবশ্যক হইয়া পড়িল ! মাতুল মহাবীর স্বামী ও মাতামহ চেটকের বিরুদ্ধাচরণ করিয়া রাজ্যের শত্রুবৃদ্ধি করা অপেক্ষা বৌদ্ধধর্মের বিরোধিতা দ্বারা এই সকল প্রতিপত্তিশালী কুটুম্বগণকে হাত করাই তিনি বুদ্ধিমানের কাজ মনে করিয়াছিলেন। জৈন আগম দ্বিতীয় উপাঙ্গ গ্রন্থ ‘উবাইয়' [ ঔপপাতিক ] হইতে জানা যায় যে মহাবীর স্বামী যখন রাজগৃহের পুণ্যভদ্র বেদিতে বক্তৃতা করেন তখন ‘বিন্তাসারপুত্র কুনিক' তাহা শুনিতে গিয়াছিলেন । রাজ্যলোভে পিতৃহত্যা করিতে যাঁহার কুণ্ঠা না হয়, ‘শ্রীমতী’র মতো একটি নগণ্য নারীর রক্তপাতে তাঁহার সংকোচ থাকিতে
.
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org