________________
২। তীর্থংকরগণের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তীর্থংকর, তীর্থকর: ‘তীর্থ’ শব্দের অর্থ বৈতরণী [ এ বইতরণিআ ব ব্যতিতরণিকা ]-তরণের পথ, অর্থাৎ জন্ম-জরা-মরণ-রূপ প্রবাহ-সমুদ্রের পারে যাইবার উপায়। জৈন তীর্থ চারিটি : [১] নিগ্রন্থ বা অনাগরীদিগের তীর্থ, [২] নিগ্রন্থী বা অনাগারিকাদিগের তীর্থ, [৩] শ্রাবক বা গৃহস্থদিগের তীর্থ, [8] শ্ৰাবিকা বা গৃহবাসিনীদিগের তীর্থ। যিনি এই চতুর্বিধ তীর্থের কর্তা, তিনি তীর্থংকর বা তীর্থকর। চতুর্বিংশতি তীর্থকরের নাম ও বিবরণ নিম্নে সংগৃহীত হইল। | ১। প্রথম তীৰ্থকর ঋষভদেব : সুষম-দুঃসম যুগে ইনি প্রাদুর্ভূত হন। গর্ভাবস্থায় ঋষভদেবের মাতা যে স্বপ্নগুলি দেখিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে ঋষভ বা বৃষের স্বপ্ন প্রথম দেখিয়াছিলেন বলিয়া তাহার নাম হয় ঋষভদেব। তাঁহার অন্য নাম আদিনাথ। তাহার নামে বহু স্তোত্র ও গ্রন্থ সংরচিত হইয়াছে। তাহার শত পুত্রের মধ্যে ভরতের নামানুসারে ভারতবর্ষের নামকরণ হইয়াছে। পিতার নাম নাভি, মাতার নাম মারুদেবী। ঋষভদেব কোশল বা অযযাধ্যার রাজা ছিলেন। তাঁহার চিহ্ন ছিল বৃষ, বটবৃক্ষতলে তাহার সিদ্ধিলাভ এবং কৈলাসশিখরে মহানির্বাণ লাভ হয়।
২। দ্বিতীয় তীৰ্থকর অজিতনাথ : ইহার পিতা জিতশত্রু ও মাতা বিজয়া। দুঃসম-সুষম যুগে অযােধ্যানগরে ইহার প্রাদুর্ভাব। ইনি জন্মগ্রহণ করিবামাত্র ইহার পিতার সকল শত্ৰু পরাভূত হয়। এইজন্য ইহার নাম অজিতনাথ। মন্দির ও মূর্তিতে ইনি হস্তিলাঞ্ছন। সপ্তচ্ছদ বা ছাতিম [ সপ্তপর্ণ > ছত্তিব > ছাতিম ]-বৃক্ষতলে সিদ্ধিলাভ করেন।
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org