________________
৮০
কুণ্ডনগরের বিষয়ে ধারণা করিতে হইলে সেকালের নগরের সাধারণ সংস্থান বিষয়ে জ্ঞান থাকা চাই। সেকালের নগর একালের মতাে ঘন বসতিপূর্ণ হইত না; পৃথক পৃথক্ জাতি পৃথক পৃথক্ পল্লীতে বাস করিত। নগরের মধ্যভাগে ক্ষত্রিয়পল্লী, ব্রাহ্মণ-পল্লী, বণিকূ-পল্লী প্রভৃতি এবং প্রান্তভাগে গােপপল্লী, কৃষক-পল্লী, দাস-পল্লী ইত্যাদি বিভিন্ন পল্লী থাকিত। কল্পসূত্রে একটি বিশিষ্ট জাতির পল্লীর উল্লেখ পাওয়া যায় ? স্বপ্ন - লক্ষণ - পাঠক- [ জ্যোতিষাচার্য ব্রাহ্মণ ]- গণের পল্লী। সামাজিক মর্যাদায় ব্রাহ্মণ অপেক্ষা ক্ষত্রিয়দিগেরই প্রাধান্য ছিল। দারিদ্র্য হেতু ব্রাহ্মণ লিম্বীদের নিকট অবজ্ঞাত জাতি বলিয়া গণ্য হইত। সিদ্ধার্থ এই কুণ্ডনগরের প্রতিপত্তিশালী ভূস্বামী ছিলেন। এই সিদ্ধার্থের পত্নী ত্রিশলা [ ৫৯৯ খ্রীস্ট পূর্বাব্দে ] একদিন চৈত্রমাসের শুক্লা এয়ােদশী তিথিতে। উত্তর ফল্গুনী নক্ষত্রে সর্বশুভযােগসমন্বিত দিনে মধ্য রাত্রিতে বর্ধমান নামক সর্বসুলক্ষণযুক্ত একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। ইনিই জৈন তীর্থংকর মহাবীর স্বামী।
শ্ৰমণ ভগবান শ্রীমহাবীর স্বামীর আবির্ভাব বিষয়ে একটি রহস্যপূর্ণ কাহিনী আছে। তিনি নাকি প্রথমে কুণ্ডনগরের ব্রাহ্মণ-পল্লীতে ঋষভদত্ত নামক ব্রাহ্মণের পত্নী দেবানন্দার গর্ভে আবিভূত হইয়াছিলেন ; এবং পরে দেবরাজ ইন্দ্রের কৌশলে কুণ্ডনগরের ক্ষত্রিয়-পল্লীতে সিদ্ধার্থের পত্নী ত্রিশলার গর্ভে গর্ভান্তরিত হইয়াছিলেন। দিগম্বরগণ এ কাহিনীর যাথা স্বীকার করেন না; কিন্তু শেতাম্বরগণ অচলা ভক্তির সহিত এ কাহিনী বিশ্বাস করিয়া থাকেন। সমালােচকগণ এই উপাখ্যান লইয়া নানারূপ জল্পনা-কল্পনা করিয়াছেন। যাকোবি
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org