________________
৯০
তাহাদের অঙ্গের দীপ্তিতে সমগ্র জগৎ সমুদ্ভাসিত হইয়াছিল। আনন্দ-কোলাহলে দিগ্বিদিক্ মুখরিত হইয়াছিল। বৈশ্রমণের ভৃত্যগণ সিদ্ধার্থগৃহে নানাবিধ ধনরত্ন বর্ষণ করিয়াছিল। পরদিন প্রাতে সিদ্ধার্থের আদেশে মহা ধূমধামে জন্মােৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কারাগার হইতে বন্দীরা মুক্তিলাভ করে। প্রচুর ধনরত্ন দান পাইয়া দরিদ্রগণ হর্ষোৎফুল্ল হয়। প্রচলিত ওজন ও মাপ বাড়াইয়া দেওয়া হয়। কুণ্ডনগরে আনন্দস্রোত বহিয়া যায়। সিদ্ধার্থের এই অকুণ্ঠিত দানের বিষয়ে আধুনিক সমালােচকদের সন্দেহের উত্তরে জৈনগণ বলিয়া থাকেন যে, মহাবীরের মতাে মহাপুরুষের জন্মােৎসবকালে অর্থাভাব হইতে পারে না। জগতে যেখানে যেখানে বেওয়ারিশ ধনসম্পত্তি থাকে, ইন্দ্রের আদেশে দেবভৃত্যগণ সেইসকল ধনসম্পত্তি ঐ সময়ে ঐ তীর্থংকরের গৃহে উপস্থিত করিয়া দেয়। | জাতকের তৃতীয় দিবসে তাহাকে চন্দ্ৰসূৰ্য্য দেখানাে হয়। ষষ্ঠ দিবসে রাত্রিভাগে ধর্ম-জাগরণ অনুষ্ঠিত হয় [ আজকাল জৈনেরা ষষ্ঠ দিবসে ষষ্ঠীপূজা করিয়া থাকেন ]। একাদশ দিবসে অশৌচ-মােচন হয়। দ্বাদশ দিবসে আত্মীয়-কুটুম্বগণকে লইয়া ভূরিভােজনের অনুষ্ঠান ও জাতকের নামকরণ করা হয়। জাতকের মাতাপিতা ইহার নাম রাখেন বর্ধমান’; কেননা, ইনি গর্ভস্থ হইবার পর হইতে তাহাদের ধন-ধান্য-সুবর্ণ-রাজ্যখ্যাতি-প্রতিপত্তি প্রভৃতি বৃদ্ধি পাইয়াছিল। দেবতারা ইহার নানা গুণ দেখিয়া নামকরণ করেন শ্রমণ ভগবান্ মহাবীর।
দিন দিন জাতক সুকুমার হস্তপদ, সুপরিপূর্ণ পঞ্চ ইন্দ্রিয়, সুপরিমিত আকার ও গঠন, চন্দ্র-সৌম্য রূপ লইয়া বাড়িয়া উঠিতে লাগিলেন। শৈশবের পর যৌবনে নানা জ্ঞান-বিজ্ঞান,
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org