________________
৮৭০
‘লিম্বী’রা আধ্যাত্মিক জ্ঞানে ব্রাহ্মণদের প্রতিদ্বন্দ্বী। ইহাদের সহিত তর্কে বিদেহবাসী ব্রাহ্মণেরা আঁটিয়া উঠিতে পারিতেন না। বিদেহের উত্তর-পশ্চিমে আর একটি দেশে শাক্য নামক ক্ষত্রিয়দের বাস ছিল। তাহাদের রাজধানী ছিল কপিলবস্তু বা কপিলবাস্তু। এই দুই জাতীয় ক্ষত্রিয় রাজাৱা বেদ-বিরােধী ও ব্রাহ্মণ-বিরােধী ছিলেন। ব্রাহ্মণেরাও “বিদ্যাশূন্য ভট্টাচার্য কলা মূলার লােভী” হইয়া পড়িয়াছিলেন। | আর্যাবর্তের পূর্ব প্রান্তবাসী ক্ষত্রিয় শাক্য ও লিম্বীদের মধ্যে অতি প্রাচীন কাল হইতেই গণতন্ত্র শাসন প্রচলিত ছিল। রাজর্ষি জনকের সময় দেশের শাসনব্যবস্থা কিরূপ ছিল তাহা এখন জানিবার উপায় নাই। কিন্তু ঘন ঘন বিদ্বৎসভার অনুষ্ঠান তাঁহার রাজ্যে হইত, এবং সেই সব সভা, সমিতি ও পরিষদে বক্তৃতা ও বিচার করিবার অধিকার নর-নারী-নির্বিশেষে সকলেরই ছিল, কোনও বাধা ছিল না। সম্ভবতঃ শাসন ব্যবস্থাতেও তিনি জনমতের অনুসরণ করিতেন। সে যাহাই হউক, খ্রীস্ট পূর্ব সপ্তম শতকে এ দেশে গণতন্ত্র ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। এ দেশের রাজারা রাজবংশীয় থাকিলেও জন-নায়ক ছিলেন এবং শাসন কার্যে সর্বদা জনমতের অনুসরণ করিতেন। অর্থাৎ জন সভার অনুমােদনক্রমে জন-নায়ক রাজা নির্বাচিত হইতেন। জন-মতের অবমাননাকারী অত্যাচারী রাজা জনসভার বিচারে সিংহাসনচ্যুত হইতেন। এক কথায় বলিতে গেলে লিচ্ছবী, শাক্য, মল্লকী প্রভৃতি পূর্বদেশীয় ক্ষত্রিয়গণ নির্ভীক ও স্বাধীন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। অতি পূর্বকালে কোশলের তথা ভারতের আদর্শ নৃপতি রামচন্দ্র প্রজারঞ্জনের জন্য সীতাবর্জন ও লক্ষ্মণ-বর্জন করিয়াছিলেন। পূর্বদেশের ক্ষত্রিয়গণের
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org